২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:৪৭

স্বাস্থ্য-পুষ্টি

একবার ডেঙ্গু হলে কি আর হয় না?

  ডেঙ্গুজ্বর তেমন মারাত্মক কোনো রোগ নয়। তবে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম প্রাণঘাতী হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সময়মত চিকিৎসা নিলে প্রাণহানির আশঙ্কা ১% এরও কম। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। জ্বর কমে গেলে কি বিপদ কেটে গেল: ডেঙ্গুজ্বর সাধারণত ৫-৬ দিন থাকে এবং তারপর সম্পূর্ণ ভালো হয়ে। জ্বর কমে গেলে অনেক রোগী এমনকি ডাক্তারও মনে করেন, ...

ডায়াবেটিস নিয়ে প্রচলিত ৭ ভুল ধারণা

ডায়াবেটিস বা হুমূত্র রোগ, দেহযন্ত্র অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হলে যে রোগ হয় তা হলো ‘ডায়াবেটিস’। রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতির অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। মূলত ইনসুলিনের ঘাটতিই হলো এর মূল কথা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঘটে নানা রকম জটিলতা, দেহের টিস্যু ও যন্ত্র আস্তে আস্তে বিকল হতে থাকে। ...

হাড়ক্ষয় রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা

অস্টিওপরোসিস বা হাড়ক্ষয় বলতে শরীরে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়াকে বুঝায়। অস্টিওপরোটিক হাড় অনেকটা মৌচাকের মতো হয়ে যায়। এতে হাড় ঝাজরা বা ফুলকো হয়ে যায়। এতে হাড় অতি দ্রুত ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। মারাত্মক হাড়ক্ষয়ে হাঁচি বা কাশি দিলেও তা ভেঙে যেতে পারে। পঞ্চাশ বছর পেরোনোর পর থেকে শরীরের হাড়ক্ষয় বা এর লক্ষণগুলো প্রতিভাত হতে থাকে। এর শুরু অনেক আগে ...

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ

মে থেকে অক্টোবর মাস বিশেষ করে বর্ষাকালে থাকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব, শীতের আগমনের আগ পর্যন্ত চলতেই থাকবে। কিন্তু এবছরের শুরু থেকেই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ, কারণ মাঝেমাঝে হালকা বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি ডেঙ্গুবাহিত এডিস মশার প্রধান প্রজননক্ষেত্র। ফলে মশার বংশবৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। তা কিভাবে বুঝবেন আপনি ডেঙ্গু জ্বরে ভুগছেন? ডেঙ্গু প্রধানত দুই ধরনের, ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার ...

কিডনির ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়

মানবদেহে দুটি কিডনি থাকে। মেরুদ-ের দুপাশে পিঠের ভেতরের দিকে থাকে এগুলো। দেহের অন্য অঙ্গের মতো কিডনিও ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। কিডনি কোষের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এ ক্যানসার হয়ে থাকে। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্করা রেনাল টিউবিউলে সৃষ্ট রেনাল সেল কারসিনোমা নামক এক ধরনের কিডনির ক্যানসারে আক্রান্ত হন। সার্জারির মাধ্যমে এ রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। বংশগত কারণ ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, অতিরিক্ত ...

ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব খাবার

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ ক্যান্সার। পুরুষেরা সাধারণত যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেগুলো হলো- ফুসফুস, পেট, লিভার, কোলোরেক্টাল এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার। নারীদের সাধারণত স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস, পেট, কোলোরেক্টাল এবং সার্ভিকাল ক্যান্সার বেশি হয়ে থাকে। তবে খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। আর অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। আসুন জেনে নিই কোন কোন খাবার বাড়ায় ...

৫ ঘণ্টার কম ঘুমালে মৃত্যুঝুঁকি

ঘুম নিয়ে অনেকেই বেশ সমস্যায় থাকেন। রাত হলে সময় মতো বিছানায় যান ঠিকই কিন্তু ঘুম আসে না কিছুতেই! ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে করতে রাতের প্রায় অর্ধেকটাই পার হয়ে যায় বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে করতে। দিনে ঠিক কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত জানেন? পাঁচ, ছয়, নাকি আট ঘণ্টা? এর কোনওটাতেই রয়েছে মারাত্মক প্রাণের ঝুঁকির! সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে সাত ...

কীভাবে বুঝবেন আপনার অস্টিওআর্থ্রাইটিস?

বয়স্ক ব্যক্তিদের চলাফেরার অন্যতম অন্তরায় হলো হাঁটুব্যথা। হাঁটুব্যথার প্রধান কারণ অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা বয়সজনিত সন্ধিক্ষয়। এতে নারীরা বেশি ভোগেন। ৬৫ বছরের ওপর ৪৫ শতাংশ নারী হাঁটুব্যথায় ভুগে থাকেন। বয়স বৃদ্ধি এই হাঁটুব্যথার প্রধানতম কারণ। তবে কিছু বিষয় এমন সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন ওজনাধিক্য, বংশগতি, জীবনাচরণ, পেশা, হাঁটুতে কোনো আঘাতের ইতিহাস, অন্যান্য বাতরোগের উপস্থিতি ইত্যাদি। আবার হাঁটুব্যথা মানেই যে অস্টিওআর্থ্রাইটিস তা–ও নয়, ...

বেশি ঘুমে মৃত্যু, বলছে গবেষণা

ঘুমের সমস্যা অনেক বড় সমস্যা। যদি ঠিক মতো ঘুম না হয়, তবে মেজাজ থাকে খিটখিটে। স্বাস্থ্যও খারাপ হয়। আবার নিয়ম মতো না ঘুমালে হতে পারে রক্তচাপ। বিভিন্ন সময় চিকিৎসকরা ঘুমের বিভিন্ন সময় নির্ধারণ করে দেন। কখনও পাঁচ ঘণ্টা, কিংবা কখনও ছয় বা আট ঘণ্টা। সময় যা-ই হোক ঘণ্টা মেপে না ঘুমালে রয়েছে প্রাণের ঝুঁকি! সাধারণ কোনো মানুষের কথা নয় এটি। ...

স্ট্রোক পরবর্তীকালে পুনর্বাসন চিকিৎসা

শরীরের কোনো একদিকে দুর্বলতাবোধ করা বা শরীরের কোনো একদিক নাড়াতে না পারা, হাত-পায়ে অবশ ভাব, মুখ একদিকে বেঁকে যাওয়া, প্রচণ্ড মাথাব্যথা হওয়া, কথা অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া, বমি হওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, মুখের অসাড়তা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, বেসামাল হাঁটাচলা, হঠাৎ খিঁচুনি বা পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হলে বুঝতে হবে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন হলে রোগীকে কাত করে শুয়ে দিতে হবে। ...