২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:৫৯

কিডনির ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়

মানবদেহে দুটি কিডনি থাকে। মেরুদ-ের দুপাশে পিঠের ভেতরের দিকে থাকে এগুলো। দেহের অন্য অঙ্গের মতো কিডনিও ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। কিডনি কোষের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এ ক্যানসার হয়ে থাকে।

সাধারণত প্রাপ্তবয়স্করা রেনাল টিউবিউলে সৃষ্ট রেনাল সেল কারসিনোমা নামক এক ধরনের কিডনির ক্যানসারে আক্রান্ত হন। সার্জারির মাধ্যমে এ রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। বংশগত কারণ ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন এবং ডায়ালিসিসযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ এ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। শিশুরা সাধারণত উইলমা টিউমার নামক এক ধরনের কিডনির ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

এ রোগ সৃষ্টিতে রেনাল সেল কারসিনোমার কারণ স্পষ্ট নয়। তবে কিছু কিডনির কোষের ডিএনএ-তে রূপান্তর (মিউটেশন) ঘটলে কিডনির ক্যানসার হয়ে থাকে। এ মিউটেশন কোষগুলো দ্রুত বৃদ্ধি ও বিভক্ত হওয়ার জন্য সংকেত প্রদান করে। এ অস্বাভাবিক কোষগুলো টিউমার তৈরি করে, যা কিডনির বাইরেও প্রসারিত হতে পারে।

এর মধ্যে কিছু কোষ বেশি ছড়িয়ে পড়ে এবং শরীরের দূরবর্তী অংশেও বিস্তৃতি ঘটায়। লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কিডনি ফুলে যাওয়া, প্রস্রাব আটকে যাওয়া, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, প্রস্টেটের বিভিন্ন সমস্যা, রাতে অতিরিক্ত প্রস্রাবের চাপ, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, গলা দিয়ে তরল বের হওয়া, কুঁচকি ফুলে যাওয়া, মল দেখতে অস্বাভাবিক লাগা ইত্যাদি।

তবে রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। প্রতিরোধের উপায়গুলো হলো ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কিছু ওষুধ ও নিকোটিন প্রতিস্থাপনকারী দ্রব্য গ্রহণের মাধ্যমে ধূমপান ত্যাগ করা সম্ভব। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

খাদ্যতালিকায় বেশি বেশি ফল ও শাকসবজি রাখুন। বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজি গ্রহণের মাধ্যমে এ রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এ জন্য প্রতিদিন কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে কিডনির ক্যানসার থেকে দূরে থাকা যায়।

লেখক : প্রধান মেডিক্যাল অফিসার
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা
চেম্বার : ল্যাব এইড লিমিটেড, পল্লবী, সেকশন-৭, মিরপুর, ঢাকা

প্রকাশ :অক্টোবর ১৭, ২০১৮ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ