ঘুম নিয়ে অনেকেই বেশ সমস্যায় থাকেন। রাত হলে সময় মতো বিছানায় যান ঠিকই কিন্তু ঘুম আসে না কিছুতেই! ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে করতে রাতের প্রায় অর্ধেকটাই পার হয়ে যায় বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে করতে। দিনে ঠিক কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত জানেন? পাঁচ, ছয়, নাকি আট ঘণ্টা? এর কোনওটাতেই রয়েছে মারাত্মক প্রাণের ঝুঁকির!
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে সাত ঘণ্টার কম বা তার বেশি সময় ঘুমিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে হৃযন্ত্রের সমস্যা হবার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। মার্কিন ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া বিম্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাঁচ ঘণ্টার কম যারা ঘুমান, তাদের মধ্যে স্ট্রোক, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, হার্ট অ্যাটাক-সহ আরও নানারকম শারীরীক সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ।
শুধু তাই নয়, এই গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে ঘুমের অনিয়মের ফলে নানা প্রাণঘাতী শারীরীক সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। এই গবেষণায় মার্কিন গবেষকেরা মোট ৩০,০০০ জন বয়স্ক মানুষকে পরীক্ষা করেন। লিপিবদ্ধ করা হয় তাদের বয়স, উচ্চতা, খাদ্যাভ্যাস-সহ আরও নানা তথ্য। এই গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সব কিছু ঠিক থাকলেও শুধুমাত্র ঘুমের অভাবের কারণে শরীরে কোনও রকম সমস্যা দেখা যায় কিনা, তা দেখা।
এই ৩০,০০০ জনের উপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকেরা যে সিদ্ধান্তে উপনীত হন, কম ঘুম মানুষের শরীরের খাদ্য হজম আর অন্যান্য ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ইনসুলিন আর রক্তচাপের ক্ষেত্রে গড়বড় হতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে মানুষের ভেতরে তৈরি হয় নানা সমস্যা। অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অব স্লিপ মেডিসিনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, একজন পুর্ণবয়স্ক মানুষের উচিত প্রতি রাতে অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা করে ঘুমানো।
তবে এ ক্ষেত্রে যদি কারও কোনভাবেই সাত ঘণ্টা করে ঘুম না হয় তাহলে চেষ্টা করতে হবে কেবল শুয়ে থেকে বিশ্রাম নিতে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, সাত ঘণ্টা না ঘুমোলেও সেই পরিমাণ শুয়ে থাকলেও মানুষের শরীরে যথেষ্ট পরিবর্তন আনে। জিনিউজ