আটক ব্যক্তিদের নামপরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তাদের সবার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে। আটকরা ১০ নভেম্বর দুবলারচরের আলোরকোলে শুরু হতে যাওয়া রাস মেলা উপলক্ষে হরিণ শিকারের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করছিল বলে দাবি করছে বনবিভাগ। তাদের বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান জানান, সকালে একদল লোক হরিণ শিকারের ফাঁদ নিয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগের একটি দল চাঁদপাই রেঞ্জের জয়মনি এলাকায় যায়। সেখানে গিয়ে তিনটি ট্রলারে ৬০ জনকে দেখতে পায় বনকর্মীরা। পরে ট্রলার তিনটিতে তল্লাশি চালিয়ে হরিণ শিকারের ফাঁদ, ধারালো দা ও কুড়ালসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
মাহমুদুল হাসান আরও জানান, আগামী ১০ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের দুবলারচরের আলোরকোলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব হবে। আটক ব্যক্তিরা মেলা উপলক্ষে হরিণ শিকারের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করছিল।
এই বন কর্মকর্তা বলেন, ‘রাসমেলা উপলক্ষে ১০ তারিখ থেকে সুন্দরবনের দুবলারচরে যাওয়া পূণ্যার্থী ও ভক্তদের সুন্দরবনে ঢোকার অনুমতি দেবে বনবিভাগ। আটক ব্যক্তিদের কাছে বন বিভাগের কোন পাস পারমিট নেই।’
মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, ‘হরিণ শিকারিদের সবার বাড়ি রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে হওয়ায় আমরা ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে খবর পাঠিয়েছি। তিনি এসে আটকদের শনাক্ত করার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’