পুলিশ জানায়, সকাল নয়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে খাদঘর এলাকায় পরিত্যক্ত ট্রলি ব্যাগ দেখতে পায় হাইওয়ে পুলিশের টহল দলের সদস্যরা। এসময় ট্রলি ব্যাগটি খুলে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয় তারা। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে দেবিদ্বার থানায় নিয়ে যায়।
কে বা কারা তাকে হত্যা করে লাশ ট্রলিতে ভরে সেখানে ফেলে রেখে গেছে তা বলতে পারছে না পুলিশ। দুর্বৃত্তরা হত্যার পর রাতের আঁধারে সেখানে ট্রলিটি ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা পুলিশের।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, ওই কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর ময়মনসিংহ শহরের পাটগুদাম ব্রিজ এলাকায় একটি লাল রঙের ট্রলি ব্যাগ থেকে বকুল নামে একজনের হাত, পা ও মাথাবিহীন একটি খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক অবস্থায় লাশ শনাক্তকরণে এবং হত্যাকাণ্ডের রহস্যের কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছিল না পুলিশ। এরপর চারজন গ্রেপ্তার হলে নিহতের পরিচয় শনাক্ত হওয়া যায় এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন হতে থাকে। পরে পুলিশ জানতে পারে বিয়ে হওয়ার পরও প্রতিবেশী সাবিনাকে প্রেম নিবেদন করে উত্ত্যক্ত করায় মিথ্যা প্রেমের অভিনয় করে গাজিপুর ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় বকুলকে। সেখানেই হত্যার পর লাশটি কয়েক টুকরো করে ময়মনসিংহ ও কুড়িগ্রামে ফেলে রাখে।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

