বিনোদন ডেস্ক :
একেই বলে খ্যাতির বিড়ম্বনা। এই মুহূর্তে সব চেয়ে বেশি মাত্রায় যার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে, তিনি বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মুহূর্তে তুমুল বিতর্ক তার কনিষ্ঠ পুত্র আব্রামকে নিয়ে। চার বছর বয়সী শাহরুখের এই ছেলের মা কে তা নিয়েই সরগরম বি-টাউন।
এবেলা পত্রিকার খবরে বলা হয়, তর্কের মূলে রয়েছে একটি তথ্য, যা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শাহরুখের কনিষ্ঠ পুত্র আব্রাম নাকি সারোগেটেড চাইল্ড।
অর্থাৎ শাহরুখ তার বাবা হলেও গর্ভধারিনী মা শাহরুখ-পত্নী গৌরী খান নন। এই সন্তানের জন্মের জন্য শাহরুখ নাকি গর্ভধাত্রীর আশ্রয় নিয়েছিলেন!
শাহরুখ ও গৌরীর দুই সন্তান— আরইয়ান খান এবাং সুহানা খান। খান দম্পতি তৃতীয় সন্তানের পরিকল্পনা করছিলেন। দু’বছর চেষ্টার পরে কোনো ফল না হওয়ায় তারা দত্তক নেয়ার কথা ভাবতে শুরু করেন।
বেশ কিছু আত্মীয় তাদের ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ’র শরণাপন্ন হতে বলেন। এই পদ্ধতিতে অন্য কোনো গর্ভধাত্রীর সাহায্যে সন্তান লাভ করা যায়।
সন্তানাকাঙ্ক্ষী দম্পতির শুক্রাণু ও ডিম্বাণু এই পদ্ধতিতে অন্য কোনো নারীর গর্ভে প্রতিস্থাপন করতে হয়। ভ্রূণ সেখানেই বাড়ে।
খান দম্পতি তাদের তৃতীয় সন্তানের জন্য আইভিএফ’ই শরণাপন্ন নেন। তবে, গর্ভধাত্রীর নাম গোপন রাখা হয়।
বলিউডে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বেশ কিছু তারকা-সন্তান এই পদ্ধতিতে জন্মেছে।
আমির খান ও কিরণ রাওয়ের সন্তানও এই পদ্ধতিতে পৃথিবীতে এসেছে।
এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হলো- শাহরুখ-গৌরীর কোনো আত্মীয়াই নাকি রাজি হন গর্ভধাত্রী হতে। তবে এই পদ্ধতিতেই আব্রাম ভূমিষ্ঠ হয়।
তাই যুক্তি অনুযায়ী, গৌরী খান আব্রামের গর্ভধারিনী নন। আব্রামের জন্মের জন্য তার ডিম্বাণু ব্যবহৃত হয়েছিল মাত্র।
দৈনিক দেশজনতা/ এম জে