দৈনিক দেশজনতা অনলাইন ডেস্ক:
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারে দেশটির নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে কথা হয়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ভয়েস অব আমেরিকা (ভোয়া) বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী এ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন ভোয়ার বাংলা সার্ভিসের সাংবাদিক আহসানুল হক। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘অং সান সু চির সঙ্গে কি কোনোরকম সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে?’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘না আমার এখনো ওরকম যোগাযোগ হয়নি।’ সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারের মানবিক ভূমিকা ও তাঁর আবেগ-অনুভূতির কথা।
সাক্ষাৎকারে প্রথমেই আসে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব নেতাদের আকুণ্ঠ সমর্থন ও বাংলাদেশের প্রশংসার কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মিয়ানমার থেকে এসেছে তাদের সসম্মানে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যেন ভালোভাবে দেশে ফিরে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমার সরকারের ওপর যেন সে চাপটা দেওয়া হয়।’ সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মানবেতর অবস্থায় থাকা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের কোন স্থানের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে তা জানিয়ে বলেন, ‘ওই দ্বীপের অনেক নাম আছে। তবে ঠেঙ্গারচর হিসেবে দ্বীপটি পরিচিত। জানি না এ নাম কেন। ওখানে গরুর খামার আছে, মহিষের খামার আছে। ভাসানচর নামটা সুন্দর। আমি বলেছি যে ভাসানচর নামটাই আমরা নিতে পারি। কারণ এ ভাসমান লোকরাই এসে থাকে। ওখানে তারাও আসবে।’ এত বিপুল শরণার্থী রাখার মতো জায়গা হবে কি না জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওটা বিশাল। ষোল হাজার একর জমি আছে।’
এ ছাড়া এই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন জঙ্গিবাদ নিরসনে তাঁর সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ এর কথা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনোভাবেই জঙ্গিবাদকে মেনে নিতে পারি না। কোনোভাবেই জঙ্গিবাদ সহ্য করব না। যেভাবে হোক সেটা বন্ধ করব।’ আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ ভোটের মালিক। এটা তার মৌলিক অধিকার। এটা তার সাংবিধানিক অধিকার। কাজেই সে তার ভোট দিয়ে তার প্রার্থী নির্বাচিত করবে এটা আমি সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করি। আমরা যে কাজ করেছি তাতে যদি জনগণ খুশি হয় ভোট দেবে, না হয় দেবে না। যা দেবে তাই আমরা মেনে নিব। ‘নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেছি। কমিশনকে এখন টাকাও চাইতে হয় না। বাজেটে আলাদা তাদের টাকাও আমরা দিয়ে দেই।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি