বিনোদন ডেস্ক:
কয়েকদিন আগে নির্মাতা ছটকু আহমেদ জানিয়েছিলেন, তার রচনায় ‘নায়করাজ রাজ্জাক : টালিগঞ্জ থেকে ঢালিউড’ শিরোনামের বই প্রকাশ হবে জানুয়ারিতে। প্রয়াত নায়করাজের জীবনীটি প্রকাশ করছে বিডি পাবলিকেশনস। কিন্তু কিংবদন্তি অভিনেতার পরিবার বলছে অন্য কথা।
রাজ্জাকের বড় ছেলে বাপ্পারাজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাবাকে নিয়ে ছটকু আহমেদসহ অনেকেই এখন বই লিখতে ইচ্ছুক বলে জেনেছি। তবে সবার প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই আমাদের পরিবারের অনুমতি ছাড়া কেউই কোনো বই প্রকাশ করবেন না প্লিজ!’
ছটকু আহমেদ জানান, বইটিতে নায়করাজের শৈশব, উত্থান, জীবনের বাঁকবদল, সে সময়ের রাজনৈতিক অবস্থায় তার অবস্থান— সবকিছু উঠে আসবে। রাজ্জাকের জীবদ্দশায় বইটি লেখা শুরু হয়। এরই মধ্যে চল্লিশ শতাংশ লেখা শেষ হয়েছে।
এদিকে নায়করাজের ছোট ছেলে সম্রাট বলেন, ‘তিনি (ছটকু আহমেদ) এসেছিলেন কয়েক দিন আগে আমাদের বাসায়। তবে বাবার মৃত্যুর পর ৪০ দিনও পার হয়নি। তাই বই প্রকাশনা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো কথা তার সঙ্গে আমাদের হয়নি। এমনকি যে প্রকাশনী থেকে বইটি বের হওয়ার কথা শুনছি তারাও তো কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’
এছাড়া ‘নায়করাজ রাজ্জাক: টালিগঞ্জ থেকে ঢালিউড’ এ নাম নিয়েও তার আপত্তি আছে জানান।
তবে সম্রাট নিশ্চিত করেছেন, জীবনী নিয়ে রাজ্জাকের সঙ্গে কথা হয়েছিল ছটকু আহমেদের। তিনি বলেন, ‘আর কেউ বা কোনো প্রকাশনী যদি রাজ্জাক পরিবারকে অবগত না করে কোনোরকম কোনোকিছু প্রিন্টে যায় তাহলে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
রাজ্জাক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ২১ আগস্ট বিকেলে। ২৩ আগস্ট সকালে বনানী বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন রাজ্জাক। ১৯৬৪ সালে স্ত্রী ও পুত্র বাপ্পারাজকে নিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। এরপর সহকারী পরিচালক হিসেবে ঢাকার রূপালি জগতে পা রাখেন তিনি। বেশ কিছু সিনেমায় ছোটখাট চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ সিনেমায় নায়ক হিসেবে তার অভিষেক হয়। এরপর একে একে তিনশটির মতো সিনেমায় অভিনয় করেন রাজ্জাক।