২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:০৩

নাজাতের দশ দিন শুরু

ধর্ম ডেস্ক:

রোজা ফারসি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে দিন। যেহেতু এই আমলটি দিনের শুরু থেকে শেষাংশ পর্যন্ত পালন করা হয় তাই একে রোজা বলা হয়। আর আরবিতে এর নাম সাওম। যার শাব্দিক অর্থ কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা।

সিয়াম সাধনার মাস রমজান মাস। পবিত্র মাহে রমজান মাসের ত্রিশ দিন তিন ভাগে ভাগ করে মহানবী (সঃ) বলেছিলেন, মাহে রমজানের প্রথম দশ দিন রহমতের, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফেরাতের এবং তৃতীয় দশ দিন হলো জাহান্নাম থেকে নাজাত লাভের।

মাগফেরাতের দশ দিন শেষে আজ থেকে শুরু হয়েছে নাজাতের দশ দিন। রমজান মাসের এ শেষ দশকের বিশেষ ফযিলত রয়েছে। আছে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য। এগুলো হল:

(১) এ দশ দিনের মাঝে রয়েছে লাইলাতুল কদর নামের একটি বিশেষ রাত। যা হাজার মাস থেকেও শ্রেষ্ঠ। যে এ রাতে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে ইবাদত-বন্দেগি করবে তার অতীতের পাপগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে।

(২) নবী করিম রাসূলুলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে বেশি সময় ও শ্রম দিতেন যা অন্য কোন রাতে দেখা যেত না। যেমন মুসলিম শরীফে আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদিসে এসেছে যে তিনি এ রাতে কোরান তিলাওয়াত, জিকির, সালাত ও দুআর মাধ্যমে জাগ্রত থাকতেন এরপর সেহরি গ্রহণ করতেন।

(৩) রমজানের শেষ দশক আসলে রাসূলুলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরনের লুঙ্গি শক্ত করে নিতেন। রাত্রি জাগরণ করতেন এবং পরিবারের সকলকে জাগিয়ে দিতেন। যেমন বুখারি ও মুসলিমে আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদিসে এসেছে। তিনি এ দশদিনের রাতে মোটেই নিদ্রা যেতেন না। পরিবারের সকলকে তিনি এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য জাগিয়ে দিতেন। রাসূলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম লুঙ্গি শক্ত করে নিতেন কথাটির অর্থ হল তিনি এ দিনগুলোতে স্ত্রীদের থেকে আলাদা হয়ে যেতেন।

(৪) এ দশদিনের একটি বৈশিষ্ট্য হল, রাসূলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ শেষ দশদিনে মসজিদে ইতেকাফ করতেন। প্রয়োজন ব্যতীত তিনি মসজিদ থেকে বের হতেন না।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জুন ১৮, ২০১৭ ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ