আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে খ্রিস্টান উপাসনালয় বা গির্জা নেই, এমন দেশ হিসেবে আর থাকছে না সৌদি আরব। দেশটিতে গির্জা প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় এক ওয়াহাবি নেতা ও ভ্যাটিকানের কার্ডিনালের মধ্যে ইতিমধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
এক জ্যেষ্ঠ ক্যাথলিক কর্মকর্তা বলেন, এটা হবে আমাদের সম্পর্ক পুর্নস্থাপনের শুরু। সৌদি কর্তৃপক্ষ দেশটিকে এক নতুন পরিচয় ও রূপে হাজির করতে চাচ্ছেন, এটা তারই আলামত। আন্তঃধর্মীয় সংলাপের জন্য গঠিত বিশপ পরিষদের প্রধান জন লুইস তাওরিন গত মাসে এক সপ্তাহের জন্য সৌদি সফরে গিয়েছিলেন। তার এ সফর নিয়ে সৌদি আরবের স্থানীয় সংবাদমধ্যমগুলো অনেক সংবাদ পরিবেশন করলেও আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিশ্চুপ ছিল।রিয়াদ সফরে লুইস তাওরিন সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানসহ বেশ কয়েকজন ধর্মীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
সৌদি আরবের অন্যতম ওয়াহাবি এনজিও মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ বিন আবদেল কারিম আল ইসসা ও লুইস তাওরিনের মধ্যে এই চুক্তিটি সই হয়েছে। তারা কেবল একটি উপাসনালয় নির্মাণ করেই ক্ষান্ত হবেন না, প্রতি দুই বছর পর পর মুসলিম-খ্রিষ্টান সম্মেলনের আয়োজন করারও পরিকল্পনা করেছেন।
গত কয়েক দশকে সৌদি আরবে বহু অমুসলিম অভিবাসী আশ্রয় নিয়েছেন। দেশটিতে এখন প্রায় ১৫ লাখ অভিবাসী রয়েছেন, যাদের অধিকাংশ ফিলিপাইন থেকে এসেছেন।
দৈনিকদেশজনতা/ টি এইচ