দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:
মালয়েশিয়ার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চলতি মাসের ৯ মে । নির্বাচনকে সামনে রেখে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন সব দলের প্রার্থীরা। ভোটারদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। তবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এতে অংশ না নিলেও তাদের প্রত্যাশা, যে দলই ক্ষমতায় আসুক নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি কাজ করবেন তাদের পক্ষে।
মালয়েশিয়ার আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৬ এপ্রিল পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। নিজের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাসেরও বেশি সময় বাকি থাকতেই এ ঘোষণা দেন তিনি।
এবারের নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট নজিব রাজাকের বারিসান ন্যাশনাল ‘বিএন’ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের বিরোধী জোট পাকাতান হারাপান ‘পিএইচ’। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশ জুড়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আর প্রার্থীদের নিয়ে নানা হিসেব-নিকেশ কষছেন ভোটাররা।
এদিকে মালয়েশিয়ার মূলধারায় যুক্ত না হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে এ নির্বাচন সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি। তবে তাদের প্রত্যাশা, দেশটিতে এখনো যারা অবৈধভাবে বসবাস করছে তাদের আরেকবার সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নতুন সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা বলেন, ‘নতুন যে সরকার আসবে তারা যেন বর্তমান স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখে। প্রবাসীদের সুযোগ বৃদ্ধি করবে। যে সকল অবৈধ প্রবাসীরা আছে তাদের যেন বৈধতা দেয়।’
কমিউনিটি নেতারা বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রচার প্রচারণায় অংশ না নেয়ার আহবান জানান।
আসন্ন এ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানামুখি প্রচারণা। ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে মরিয়া সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। বসে নেই বিরোধীরাও। রাজনীতির নতুন মেরুকরণে যুক্ত হয়েছে মাহাথীরের ফিরে আসা। কে হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী- ফয়সালা হবে ৯ মে’র নির্বচনে। তবে ভোটের জয় পরাজয় যাই হোক বিদেশিদের পক্ষে যে দল কাজ করবেই তারাই ক্ষমতায় আসুক এমনটাই প্রত্যাশা এখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ