স্পোর্টস ডেস্ক:
ক্রিস গেইল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। অথচ এবারের আইপিএলে বাতিলের খাতায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। বয়স হয়ে গেছে ৩৯। তাই বুড়ো ভেবে নিলামের দুই দফায় তাকে কেনেনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। কথায় আছে- দানে দানে তিন দান। তৃতীয় দফায় ক্যারিবিয়ান দৈত্যকে ডেরায় ভেড়ায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। দল তো পেলেন। কিন্তু একাদশে জায়গা হচ্ছিল না।
অবশেষে হাঁকডাকের মতোই দানে দানে তিন দান। তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পেলেন। পেয়েই বুঝিয়ে দিলেন, বয়স হচ্ছে কিন্তু খুন করার মতো সব অস্ত্রই ধারালো আছে। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে কচুকাটা করলেন চেন্নাই বোলারদের। ৩৩ বলে খেললেন ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ৭ চারের বিপরীতে ছক্কা ৪টি। তার তোলা ঝড়েই প্রতিপক্ষকে ১৯৮ রানের লক্ষ্য দেয় পাঞ্জাব। ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয়ও পেয়েছে পরের দলটি।
বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন গেইল। আইপিএলে এটি তার ৫১তম ম্যাচসেরার পুরস্কার। আস্থার প্রতিদান দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনিও। তাই ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন খোশ মেজাজে। খুলে দেন কথার ঝাপি, পুরো ক্যারিয়ারে নিজেকে কখনও এতটা তরুণ মনে হয়নি। মনে হচ্ছে, ২৫ বছরের তরুণ আমি। দ্য ইউনিভার্স বস ইজ ব্যাক।
গত দুই ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি। এ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে নিশ্চয়ই রোমাঞ্চিত ছিলেন গেইল। সে কথাও চলুন শুনি তার মুখে- সকালে মেসেজ পাই যে, আমি চেন্নাইয়ের বিপক্ষে খেলছি। দুহাত ভরে সুযোগটি গ্রহণ করেছি। এর জন্যই অপেক্ষায় ছিলাম। নিজের সর্বোচ্চটা কাজে লাগিয়েছি। কামব্যাক করতে পেরে ভালো লাগছে। আবারও তোমাদের মাঝে ফিরে এসেছি। তোমাদের আনন্দ দিতেই এখানে এসেছি। তোমরা ইউনিভার্স বসকে দেখার অপেক্ষায় ছিলে। এই দিলাম উপহার। নিশ্চিত থাক, ক্যারিয়ারের ইতিটানার আগ পর্যন্ত আনন্দ দিয়ে যাব- যোগ করেন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের রাজা।