আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মেলায় পথ হারানো এক স্কুলছাত্রীকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার আশ্বাসে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাতে ভারতের বর্ধমান শহর লাগোয়া একটি গ্রামের ওই কিশোরী আউশগ্রাম থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, পসকো আইনে গণধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই কিশোরী অজ্ঞাতপরিচয় দুই যুবকের নামে অভিযোগ করেছে। আমারা তদন্ত শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি। আমরা অভিযুক্তদের ছবি আঁকানো যায় কি না দেখছি।
জানা যায়, আউশগ্রামের যাদবগঞ্জে প্রতি বছর চরকের মেলা বসে। মেলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের আদিবাসীরা হাজির হন। এমন কী, অন্য রাজ্য থেকেও আদিবাসীরা আসেন। চার-পাঁচ দিন ধরে রাতভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও চলে। রোববার বর্ধমান শহর লাগোয়া একটি গ্রাম থেকে কয়েকজন বান্ধবী ও আত্মীয়দের সঙ্গে ওই মেলা দেখতে গিয়েছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী।
পুলিশের কাছে সে জানিয়েছে, ভিড়ের মধ্যে থেকে সে দলছুট হয়ে যায়। মেলার মাঠ থেকে কিছুটা দূরেই তার আত্মীয়ের বাড়ি। ছাত্রীর অভিযোগ, পরিচিত কাউকে দেখতে না পেয়ে ঘাবড়ে গিয়ে মেলার মাঠের ধারে কান্নাকাটি শুরু করে। সেই সময় ওই দুই যুবক আমাকে আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেবে বলে মোটরসাইকেলে চাপায়। কিন্তু আত্মীয়ের বাড়ির বদলে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে গিয়ে আমার সঙ্গে নোংরামি করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বননবগ্রামের জঙ্গলে একটি পুকুরপাড়ে ওই কিশোরীকে ফেলে পালিয়ে যায় ওই যুবকেরা। মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরীকে স্থানীয় ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পুলিশের দাবি, ওই কিশোরী জানিয়েছে অভিযুক্ত দু’জন এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। নির্যাতন করার সময় সে চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়। ওই যুবকদের দেখলে সে চিনতে পারবে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
সোমবার ওই কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশের দাবি, পরীক্ষা করাতে রাজি হয়নি ওই কিশোরী। পরে বর্ধমান আদালতে গোপন জবানবন্দী দিয়েছে নির্যাতিতা কিশোরী।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি