নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার। তবে পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা প্রায় সমান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর চলতি ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারির সবশেষ হিসেবে এই তথ্যে পুরুষ ৮ কোটি ১০ লাখ এবং মহিলা ৮ কোটি সাড়ে ৭ লাখ জন। আর গত পাঁচ বছরে মুসলমানের সংখ্যা কমেছে। তবে অন্যান্য ধর্মের লোকের সংখ্যা বেড়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি অডিটোরিয়ামে পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক রিপোর্ট প্রকাশ করে এই তথ্য জানানো হয়। ব্যুরোর ডিজি মো. আমীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক।
ব্যুরোর তথ্য তুলে ধরেন যুগ্ম পরিচালক ও পিডি এ কে এম আশরাফুল হক।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ২৭ লাখ। ২০১৬ সালের ১ জুলাইতে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৮ লাখে। গত ছয় মাসে এটি সাড়ে ৯ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০১৬ সালে এই জরিপ করে ব্যুরো। তখন নমুনা খানা ছিল ২২ লাখ ৮৭২টি। গত পাঁচ বছরে লিঙ্গানুপাত কমেছে। নারী-পুরুষের লিঙ্গানুপাত ২০১২ সালে যেখানে ১০৪.৯ ছিল, তা ২০১৬ সালে ১০০.৩ অনুপাতে দাঁড়ায়। উচ্চ প্রজনন হারের এটা একটা কারণ।
দেশে গড় খানার সদস্যও কমেছে। ২০১২ সালের সাড়ে ৪ থেকে কমে ৪.৩-এ দাঁড়িয়েছে ২০১৬ সালে। পাশাপাশি কমেছে নির্ভরতার অনুপাত। ২০০২ সালের ৮০ থেকে কমে ৫৪-এ দাঁড়িয়েছে ২০১৬ সালে। উল্লেখিত সময়ে হার ৩২ শতাংশেরর বেশি কমলেও গত পাঁচ বছরে তা প্রায় স্থিতিতে রয়েছে।
ব্যুরোর হিসেবে ২০১২ সালে দেশে মুসলমানের সংখ্যা ছিল ৮৮.৮ শতাংশ। যা ২০১৬ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৮৮.৪ শতাংশে। যেখানে ২০১২ সালে অন্য ধর্মের হার ছিল ১১.২ শতাংশ, এটা ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ১১.৬ শতাংশে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম