অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের কেরালা রাজ্যে প্রকাশ্যে গরু জবাই করার অভিযোগে ভারতীয় যুব কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মামালা করেছে পুলিশ।
যুব কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সদস্য উত্তর কেরালার কানুর এলাকায় প্রকাশ্যে গুরু জবাই করে সেটির মাংস রান্না করে অনেকের মাঝে বিতরণ করেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি গরু কেনা-বেচা বন্ধের যে নির্দেশ দিয়েছে সেটির প্রতিবাদে যুব কংগ্রেসের নেতারা প্রকাশ্যে গরু জবাই করলেন।
প্রকাশ্যে গরু জবাই করার একটি ভিডিও ছড়িয়ে যাবার পর এনিয়ে পুলিশ তৎপর হয়ে মামলা দায়ের করে।
তবে এ ঘটনার সাথে কতজন জড়িত ছিলেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, যেভাবে গরুটিকে প্রকাশ্যে জবাই করা হয়েছে তাতে জনসাধারণের অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে এবং সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বিরোধী দল কংগ্রেস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধি এ ঘটনার সমালোচনা করেছেন।
তিনি বিষয়টিকে ‘জঘন্য’ হিসেবে বর্ণনা করেন। ধারনা করা হচ্ছে গত শনিবার এ ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে।
সেদিন কেরালা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গরু কেনা-বেচা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন বিক্ষোভ করে।
ভারতের কেরালা রাজ্যে গরুর মাংস বহুল প্রচলিত। কিন্তু গরু কেনা-বেচা বন্ধে সরকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ।
ভারতের অনেক রাজ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ হলেও কেরালা রাজ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ নয়।
কিন্তু তারপরেও অনেকে মনে করেন, এভাবে প্রকাশ্যে গরু জবাই প্রাণী হত্যার নৃশংসতাকে তুলে ধরে এবং যারা এ কাজ করেছে তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।
২০১৪ সালে ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর গরু জবাই নিষিদ্ধ করার বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়।
হিন্দুরা গরুকে অতি পবিত্র মনে করে। গরু জবাইকে কেন্দ্র বেশ কিছু মুসলিমকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এসব ঘটনার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।-বিবিসি বাংলা
দৈনিক দেশজনতা /এমএম