নিজস্ব প্রতিবেদক :
বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য বিমসটেকই কেবল এলডিসির বিকল্প ফোরাম হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিমসটেকের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী এক সেমিনার উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্র ভুটান, নেপাল ও মিয়ামনারকে নিয়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের যোগ দিচ্ছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। তবে এর মধ্যে উন্নয়ন ও প্রগতির যে গতি সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখতে হলে, আমাদেরকে বাণিজ্য ও অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করতে হবে।’
মাহমুদ আলী বলেন, ‘বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য মাত্র ৭ শতাংশ। এটি ২১ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব। তবে এটা তখনই সম্ভব হবে যখন বিমসটেক দেশগুলো একযোগে কাজ করবে।’
বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিমসটেক জোটকে কার্যকরী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার উপর জোর দিয়ে মাহমুদ আলী বলেন, ‘আমাদের এলডিসি ক্লাবের বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে। বিমসটেক হতে পারে এমন বিকল্প।’
বিমসটেক সভাপতি নেপালের রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. চোপ লাল ভুষাল বলেন, ‘বিমসটেক এমন একটি সংস্থা যা দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে বিশেষ লাভবান করবে। সার্ক ও আসিয়ানের মতো সংস্থাগুলোর সাফল্য ও ব্যর্থতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আমাদের সবাইকে বিমসটেকের জন্য কাজ করতে হবে।’
স্বাগত বক্তব্যে বিমসটেক মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিমসটেক দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সেতু হিসেবে যোগাযোগের অতুলনীয় ভূমিকা রাখছে।’
১৯৯৭ সালে বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) গঠিত হয়। শুরুতে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড বিমসটেক গঠন করে; পরে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান এতে যোগ দেয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ