স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রথম লেগে একটা দল ৫-০ গোলে জেতার পর ফিরতি লেগে আর বাকি থাকে কী! স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা বলা যায়। সেই অর্থহীন ম্যাচে অবশ্য গোল করতে পারেনি লিভারপুল।
অ্যানফিল্ডে বুধবার শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পোর্তোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ‘অল রেড’রা। তবে প্রথম লেগে পোর্তোর মাঠে বড় জয়ই ৯ বছর পর লিভারপুলকে চাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট এনে দিয়েছে।
প্রথম লেগে ৫-০ গোলের জয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সাদিও মানে। ঘরের মাঠে ফিরতি লেগেও কমপক্ষে দুই গোল পেতে পারতেন সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু ১৮ মিনিটে মানের শট অল্পের জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৩১ মিনিটে তার আরেকটি শট ফেরে পোস্টে লেগে।
প্রথমার্ধে মোহাম্মদ সালাহকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। দ্বিতীয়ার্ধে মানের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন সালাহ। তবে মিশরের এই ফরোয়ার্ডও স্বাগতিকদের গোল এনে দিতে পারেননি। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি পোর্তোও।
২০০৯ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে উঠল লিভারপুল। শেষ আটে ওঠার পর ইয়ুর্গেন ক্লপের চোখ এখন সেমিফাইনালে। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে লিভারপুল কোচ বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে। আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাই।’ কাজটা যে সহজ হবে না, সেটাও ভালোমতোই জানা অাছে ক্লুপের, ‘পরের রাউন্ড কঠিন হবে। অন্য সাত দল খুব ভালো- সম্ভবত এর চারটিই হবে ইংল্যান্ডের, যা মোটেই সহজ হবে না।’
এপ্রিলের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। প্রতিপক্ষ কে হবে, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না লিভারপুল কোচ, ‘আমরা নির্দিষ্ট কাউকে চাই না। প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের পাব, তাদের সঙ্গেই আমরা খেলব।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি