বিনোদন ডেস্ক :
বলিউডের জনপ্রিয় জুটি সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। সর্বশেষ টাইগার জিন্দা হ্যায় সিনেমায় জুটিবদ্ধ হয়েছেন তারা। গত ২২ ডিসেম্বর মুক্তি পায় সিনেমাটি। বক্স অফিসেও ভালো ব্যবসা করে এটি।
এদিকে গত ডিসেম্বরে টাইগার জিন্দা হ্যায় সিনেমার প্রচারের সময় বর্ণ বৈষম্যমূলক মন্তব্য করে একটি বিশেষ শ্রেণির মানুষের অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে সালমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এ ছাড়া ভারতের তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় এবং দিল্লি ও মুম্বাই পুলিশ কমিশনারের কাছে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানায় ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউলড কাস্টস (এনসিএসসি)। একই অভিযোগ ওঠে অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির বিরুদ্ধেও। এ বিষয়ে গত মাসে সালমান খান ও শিল্পা শেঠির বিরুদ্ধেও সমন জারি হয়। ভারতের রাজস্থানের চুরু জেলার ডেপুটি এসপি হুকুম সিং এ সমন জারি করেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে পদক্ষেপ দিল্লি আদালতে আরো একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এতে সালমান খান, ক্যাটরিনা কাইফ ও আরো যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন করা হয়েছে। অভিযুক্তের তালিকায় সালমান আগেও ছিলেন। তবে এতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ক্যাটরিনার নাম।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি কমিশন ফর কর্মচারী’র সাবেক চেয়ারম্যান হরনাম সিংয়ের অভিযোগ, ‘অনুষ্ঠানে প্রধান অভিযুক্ত যখন আক্রমণাত্মক ও স্পর্শকাতর মন্তব্য করছিলেন তখন এর প্রতিবাদ না করে, এর সমর্থন করেছেন ক্যাটরিনা। ’অভিনেতা সালমান খানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ, টাইগার জিন্দা হ্যায় সিনেমার প্রচারণায় এক টিভি অনুষ্ঠানে ‘ভাঙ্গি’ (নিচু সম্প্রদায়) শব্দটি ব্যবহার করেন এ অভিনেতা। নিজের নাচের দক্ষতা বোঝাতে গিয়ে শব্দটি ব্যবহার করেন তিনি। এ সময় সালমানের কথা শুনে হেসেছিলেন ক্যাটরিনা। অন্যদিকে এক সাক্ষাৎকারে ‘ভাঙ্গি’ শব্দটি ব্যবহার করেন শিল্পা। বাড়িতে তাকে কেমন দেখায় তার উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে ভাঙ্গির মতো দেখায়।’
তবে এ বিষয়ে পরবর্তীতে ক্ষমা চান শিল্পা শেঠি। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে ক্ষমা চেয়ে তিনি লেখেন, ‘অতীতের একটি সাক্ষাৎকারে আমার কিছু শব্দ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কারো অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য এগুলো বলা হয়নি। যদি কেউ আঘাত পান তা হলে আমি ক্ষমা চাইছি। আমি গর্বিত যে, এমন একটি দেশে বসবাস করি যেখানে বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায় রয়েছে এবং আমি প্রত্যেককে শ্রদ্ধা করি।’