প্রতিবাদী নারী চরিত্রে অভিনয় করে এরইমধ্যে পেয়েছেন ব্যাপক তারকাখ্যাতি। তাকে বলা হচ্ছে বর্ষসেরা ক্ষমতাধর নারী। এতো এতো প্রশংসা, তারকাখ্যাতি আর তকমা যখন নামের পাশে, তখনও কতো বিনয় ধরে রেখেছেন বলিউড আইকন ‘পিংকখ্যাত’ তাপশী পান্নু। দিল্লির মেয়ে তাপশী ২০০৮ সালে মডেলিংয়ের মাধ্যমে মিডিয়ায় কাজ শুরু করলেও ২০১০ সালে আসেন রুপালি পর্দায়। তেগেলু মুভি ‘ঝু্ম্মন্ডি নাডম’ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও তিন বছর পরেই পা রাখেন বলিউডে-চশমে বাদর দিয়ে। এরপর নারী প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে নিজের ঝুলিতে তুলতে থাকেন একের পর এক প্রশংসা। পিংক সিনেমা রিলিজ হওয়ার পর প্রতিবাদী নারীর মূর্ত প্রতীক হিসেবেই অনেকে ভাবছেন তাকে।
‘যেদিন কোনো দর্শক আমার কোনো সিনেমার টিকিট কেটে অন্যদের বলবেন- এটা তাপশীর সিনেমা, চলো দেখতে যাই, সেদিন নিজেকে একজন স্টার হিসেবে আমি বিশ্বাস করবো’। ত্রিশের কোটায় দাঁড়ানো তাপশী এরইমধ্যে নারী প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে ঢেউ তুলেছেন বলিউডে। বলেন- ‘আমি খুব আত্মবিশ্বাসী যে, এই ধারাটি সঠিক পথেই এগুচ্ছে এবং এটির ধারাবাহিকতা থাকবে। এটা খুব ভালো হয়েছে। কমপক্ষে ঝুঁকি এবং সুযোগ গ্রহণের পথটা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য আমি অত্যন্ত খুশি’।
১৯৮৭ সালের ১ আগস্ট দিল্লির এক শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তাপশী পান্নু। স্কুলের পাঠ চুকিয়ে নয়াদিল্লির গুরু টেগ বাহারদুর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে পেশাগত জীবন শুরু করেন সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে। এরপর একটি টিভি রিয়্যালিটি শোতে নির্বাচিত হওয়ার পর আসেন মডেলিংয়ে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি