১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং | ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:১৫

জেনে নিন অনিয়মিত পিরিয়ড বন্ধে কী করণীয়

লাইফ স্টাইল ডেস্ক:

মাসিক সাধারণত ২৮ দিন অন্তর অন্তর হয়। এটাকে স্বাভাবিক ঋতুচক্র বলে। এছাড়া সাধারণত ৪/৫ দিন স্থায়ী থেকে বন্ধ হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে ৩ দিন হয়ে বন্ধ হয়, আবার কারো ক্ষেত্রে ৭ দিন হয়ে বন্ধ হয়। তবে ৪/৫ দিন স্থায়ী ঋতুই স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। তবে অনেকের দেখা যায় ১৫ দিন পর বা ৪০-৫০ দিন পর পর মাসিক হয়, এটাকে বলে অনিয়মিত মাসিক এটা একটা রোগ। এ রোগ পরবর্তিতে অনেক বড় সমস্যা সৃষ্টি করে। এমনকি বন্ধ্যতাও সৃষ্টি করতে পারে। মাসিক নিয়মিতভাবে হওয়ার জন্য কিছু বিষয় জানতে হবে, এবং সেই নিয়ম মাফিক কাজ করতে হবে।

শরীরে উচ্চতা অনুযায়ি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেলে অনেকের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। অতিরিক্ত ওজনের ফলে আরো শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কেননা শরীরে পানি ঘাটতি থাকলে ইউরেটরে ইনফেকশন সৃষ্টি হয়। এত করে মাসিক হতে বিলম্ব করে। তাই পরিমান মতো পানি পান করতে হবে। বেশি করলে ক্ষতি নেই।

বিবাহিতরা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করলে সেটা বন্ধ করবেন না। এতে করে গর্ভধারণের ঝুকি থেকেই যায়। যদি আপনি পিল গ্রহণ করেন তাহলে মাসিক বন্ধ হবার পরও পিল কন্টিনিউ করতে হবে। মাসিক না হলে বাদামি বর্ণের পিল খান মাসিক হয়ে যাবে। না হলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।

নিয়মিত সুষম ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খান, তাজা মাছ মাংস সবুজ শাক-সবজি ও ফলমূল নিয়মিত খেতে হবে। শরীরে রক্ত শূণ্যতা বা ক্যালসিয়ামের অভাব হলে মাসিক হতে দেরি হয়।

তাই খাদ্যঅভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। অ্যালকোহল, ক্যাফেইন, সিগারেট, ইয়াবাসহ সকল প্রকার নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার করুন।

শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ঠিক মতো গোসল, স্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা, সঠিক টাইমে খাবার গ্রহণ ইত্যাদি মেনে চলতে হবে।

মোট কথা আপনার শরীর যদি ফিট না থাকে তাহলে মাসিক হতে বিলম্ব হতে পারে। যদি ২ -৩ মাস পার হয়ে যায় মাসিক হচ্ছে না তা হলে আপনি ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে পারেন।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮ ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ