ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা ‘এ’ গ্রুপের রক্ত বহন করছেন তারা মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি আশঙ্কায় রয়েছেন। আবার যারা ‘ও’ গ্রুপের রক্ত বহন করছেন তারা কম শঙ্কায় রয়েছেন।
গবেষকরা করোনাপীড়িত উহান ও শেনজেন হাসপাতালের দুই হাজার দু’শ রোগীর তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করেছেন। তারা জানিয়েছেন, উহানের নাগরিকদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ ও গ্রুপের রক্ত বহন করছেন, ৩২ শতাংশ বহন করছেন এ গ্রুপের রক্ত। আর ২৫ শতাংশ বি গ্রুপের বহন করছেন এবং ৯ শতাংশ বহন করছেন এবি গ্রুপ।
বিজ্ঞানীরা উহানের তিন হাজার সাতশ সুস্থ নাগরিকের রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়েও গবেষণা করেছেন। তারা দেখতে পান উহানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ৩৮ শতাংশই এ গ্রুপের রক্ত বহন করছেন। আর অন্যদিকে, ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ রোগী বি গ্রুপের এবং ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ ব্যক্তি ও গ্রুপের রক্ত বহন করছেন। সবচেয়ে কম ব্যক্তি (১০ শতাংশ) এবি গ্রুপের রক্ত বহন করছেন।
গবেষকরা বলেছেন, এই গবেষণাটি প্রাথমিক পর্যায়ের। এটি নিয়ে আরও কাজ বাকি রয়েছে। যেসব চিকিৎসকরা করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন তাদেরকে রোগীর রক্তের গ্রুপ উল্লেখ করে সে বিষয়ে বিশ্লেষণের আহ্বান জানিয়েছেন।
উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝোংনান হাসপাতালের ট্রান্সেলেশন মেডিসিন নিয়ে এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন ওয়ান জিংহুয়ান। তিনি লিখেছেন, ‘রক্তের গ্রুপ এ এর লোকদের বিশেষত সংক্রমণের সম্ভাবনা কমাতে ব্যক্তিগত সুরক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া তাদের আরও সচেতন ও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে’।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

