চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ইতালির পরেই রয়েছে ইরান। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৬১৬৯ জন আক্রান্ত এবং ৯৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জনগণ ভ্রমণ অব্যাহত রাখলে এবং স্বাস্থ্য পরামর্শগুলোকে অবহেলা করলে ইরানে লাখ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে বলে ওই গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে। তেহরানের শরিফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সাংবাদিক ডা. আফরুজ এসলামি এ সর্তক বার্তা দেন। আফরুজ এসলামি একজন চিকিৎসকও।
গবেষণার উদ্বৃতি দিয়ে ডা. আফরুজ ইরানের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তিন ধরনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন। আফরুজ এসলামি বলেন, যদি জনগণ এখনই ভালভাবে সহযোগিতা শুরু করে তবে এই প্রার্দুভাব শেষে ১ লাখ ২০ হাজার করোনা ভাইরাস আক্রান্ত এবং ১২ হাজারের মত মানুষকে মারা যেতে দেখবে ইরান। যদি মোটামুটি সহযোগিতা করে তবে আক্রান্তের সংখ্যা হবে ৩ লাখ এবং ১ লাখ ১০ হাজারের মতো মারা যাবে। কিন্তু জনগণ যদি কোন ধরনের নির্দেশনা অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয় তবে এটি ইরানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে দেবে। ইতোমধ্যে ইরানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাপের মধ্যে আছে। যদি পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা না থাকে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ মিলিয়ন (৪০ লাখ) ছাড়িয়ে যাবে এবং সাড়ে ৩ মিলিয়ন বা ৩৫ লাখ মানুষ মারা যাবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি ডা. আফরুজ।
এ পর্যন্ত কমপক্ষে ইরানের বর্তমান ও সাবেক ১২ জন রাজনৈতিক, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আরও অন্তত ১৩ জন কোয়ারেন্টাইনে অথবা চিকিৎসা নিচ্ছেন। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের ওপর ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। দেশটির সুরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার সতর্কতা এবং আবেদনের বিষয়টি জনগণ উপেক্ষা করার পরে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ইরান সরকারের পক্ষ থেকে দেশটির জনগণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু অনেকে এই আহ্বান উপেক্ষা করেছে।