বিনোদন ডেস্ক:
ইন্ডাস্ট্রিতে শোনা যায়, সালমানকে নাকি কেউ মুখের উপর ‘না’ বলার সাহস দেখান না। কিন্তু এ বার একেবারে সরাসরি ‘না’ শুনতে হয়েছে অভিনেতাকে। প্রত্যাখ্যাত হলেন তিনি। কোনও ফিল্ম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নয়। বিষয়টা এ বার একেবারেই অন্যরকম। ঘোড়ার প্রতি সালমানের প্রেম নতুন নয়। তার ফার্মহাউসে বিভিন্ন প্রজাতির ঘোড়ার কালেকশন রয়েছে।
সম্প্রতি সালমানের চোখ পড়ে একটি বিশেষ প্রজাতির ঘোড়ার উপর। এই মুহূর্তে দেশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ঘোড়া নাকি সেটিই। যাকে কেনার জন্য ২ কোটি টাকা খরচ করতেও রাজি হয়েছেন নায়ক। কিন্তু সালমানের এমন ইচ্ছেয় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছেন ঘোড়ার মালিক। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর খবর অনুযায়ী, ঘোড়াটির নাম ‘সাকাব’। ধবধবে সাদা এই ঘোড়ার মাথায় ও পেটের কাছে কালো ছোপ রয়েছে। বিশ্বে এই প্রজাতির মাত্র তিনটি ঘোড়া রয়েছে। দু’টি রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। তৃতীয়টি, অর্থাৎ সাকাবের নিবাস গুজরাতের সুরাতে।
সাকাবের মালিক সিরাজ পাঠান পাঁচ বছর বয়সে রাজস্থানের একটি মেলা থেকে তাকে কিনেছিল। ঘোড়াটির তখন দাম ছিল সাড়ে চোদ্দ লক্ষ টাকা। সিরাজের আগেও সাকাব দু’জন মালিকের কাছে ছিল। তখন তার নাম ছিল যথাক্রমে তুফান ও পবন। সাকাবের মা পাকিস্তানি-সিন্ধি প্রজাতির এবং বাবা রাজস্থানি-সুরাতওয়ালি প্রজাতির। সাকাবের বর্তমান মালিক সিরাজের দাবি, ঘোড়াটি এক টানা ঘণ্টায় প্রায় ৪৩ কিলোমিটার বেগে দৌড়তে পারে। এতটাই সাবলীল সেই দৌড় যে, বহু ক্ষণ বসে থাকলেও চালকের নাকি কোনও অসুবিধাই হয় না। ঘোড়াদের ক্ষেত্রে নাকি এরকমটা দেখাই যায় না। এখনও পর্যন্ত ১৯টি রেসে নেমে সবকটিতেই জয় পেয়েছে সাকাব। সাকাবের মালিক জানিয়েছেন, সালমানই প্রথম নন, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদলও ঘোড়াটিকে কিনতে চেয়েছিলেন। প্রস্তাব দিয়েছিলেন ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকার। এর পর সালমান। সম্প্রতি সুরাতের আরও এক শিল্পপতি সাকাবকে কেনার জন্য ৩ কোটি ১১ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দিয়েছেন সিরাজকে। কিন্তু সিরাজ কোনও মূল্যেই সাকাবকে হাতছাড়া করতে রাজি নন। যদিও, পরবর্তীতে অর্থমূল্যের হেরফেরে সাকাবকে তিনি বিক্রি করবেন কিনা, তা নিশ্চিত করেননি সিরাজ পাঠান।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি