ধর্ম ডেস্ক:
আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন বা নিঃশেষ করে দিতে চান কেননা সুদ সমাজের নৈতিক, আধ্যাত্মিক, অর্থনৈতিক ও তামাদ্দুনিক শক্তিকে ধ্বংশ করে দেয়। আর দানকে তিনি বর্ধিত ও বিকশিত করেন কারন দান-খয়রাতের মাধ্যমে সমাজের নৈতিক, আধ্যাত্মিক, তামাদ্দুন ও অর্থনীতি সবকিছুরই উন্নতি ও বিকাশ ঘটায়।
আল্লাহ তা’য়ালা বলেন- الصَّدَقَاتِ وَيُرْبِي الرِّبَا اللَّهُ يَمْحَقُ অর্থাৎ আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত বা বিকশিত করেন। বাকারা-২৭৬
রাসুল (সঃ) বলেন- সুদ যদিও বৃদ্ধি পায় কিন্তু এর শেষ পরিণতি হচ্ছে স্বল্পতা”। [মুসনাদে আহমাদঃ ১/৩৯৫]
সুদের ক্ষতিকর দিক গুলি কি কি..?
সুদের মধ্যে রয়েছে নানাবিধ ক্ষতির কারন যা নিম্নে প্রকাশ করা হলো-
১. সুদ মানুষের নৈতিক, আধ্যাত্মিক শক্তিকে ধ্বংশ করে দেয়।
২. সুদ মানুষের স্বার্থপরতা, কৃপণতা, সংকীর্ণতা শেখায়।
৩. সুদ সমাজে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে।
৪. সুদ সঞ্চয়কারীদের মধ্যে অলসতা সৃষ্টি করে।
৫. সুদ নৈতিক অবক্ষয় সাধন করে।
৬. সুদ সমাজ শোষণের কার্যকরী শক্তিশালী মাধ্যম।
৭. সুদ বিত্তবানকে আরো বিত্তবান এবং দরিদ্রকে আরো দরিদ্র করে।
৮. সুদ পরিবেশকে ধ্বংস করে।
৯. সুদ মানুষকে ঋণের ভারে জর্জরিত করে।
১০. সুদ জীবনীশক্তি ক্ষয় ও কর্মক্ষমতা হ্রাস করে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ