স্বাস্থ্য ডেস্ক:
আমাদের দেশে দিনে দিনে সকল ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়েই চলছে। আর মধ্যে সবচাইতে বেশি ঝুঁকির মাঝে আছে ফুসফুস ক্যান্সার। প্রতিদিনকার অস্বাস্থ্যকর খাবার, ধুলাবালি, ধূমপান, বাতাসে বিষক্রিয়া বিভিন্ন কারণে বাড়ছে ফুসফুস ক্যান্সার। এছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে যা আমরা প্রতিদিন করে চলছি কিন্তু জানি না যে এটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আমাদের মৃত্যুর কারণ। আসুন আজ আমরা জেনে নেই তেমনই কিছু কারণ।
রেডন: রেডন হচ্ছে একধরণের কেমিক্যাল উপাসান যা মানুষের দেহের সংস্পর্শে এলে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। রেডন মাটির নিচে যেখানে খুব বেশি আলোবাতাস পৌছায় না যেমন আন্ডারগ্রাইন্ড মাইনের মতো স্থানে উৎপন্ন হতে দেখা যায়। যারা গভীর মাটির নিচের এই মাইন বা এই ধরণের কোনো স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি বা এই ধরণের কাজগুলো করেন তারা এই রেডনের সংস্পর্শে এসে ফুসফুসে ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকেন।
ধূমপান করা: ধূমপান করলে ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়ে তা সকলেই জানেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই প্রক্রিয়াটি খুব ধীর গতিতে হয়ে থাকে। যার কারণে ধূমপায়ী মানুষেরা বুঝতেই পারেন না তাদের ধূমপান করার অভ্যাসটি তাকে মৃত্যুর মুখে নিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা যায় ৯০% ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী ধূমপান।
নানা ধরণের কেমিক্যাল: অ্যাসবেস্টোস, আর্সেনিক, নিকেল, ক্রোমিয়াম ধরণের মৌলগুলোর অতিরিক্ত সংস্পর্শে আসার ফলে ফুসফুসে ক্যান্সারের ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় বেশ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। যারা কল কারখানায় কাজ করেন তাদের অনেক সতর্ক থাকা উচিত।
পরিবারে ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে: যাদের পরিবারে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন এবং ছিলেন তারা ক্যান্সারে আক্রান্তের অনেক বড় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। বিশেষ করে ফুসফুসে ক্যান্সারের মতো ক্যান্সারগুলো যেগুলো হওয়া খুবই সহজ। তাই যদি পারিবারিক ইতিহাসে ক্যান্সার আক্রান্ত কেউ থেকে থাকেন তাহলে অবহেলা না করে নিয়মিত চেকআপ করানো উচিত সকলেরই।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ