লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
অন্য সময়ের চেয়ে শীত ঋতুতে শরীরের একটু বাড়তি যত্ন নিতে হয়। কারণ এই সময়ে হঠাৎ ঋতু পরিবর্তনের জন্য নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। শীতে শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সবার একটি সমস্যা কম-বেশি হয়ে থাকে, সেটি হলো ঠোঁট ফাটা। ঠোঁট ফাটা অস্বস্তিকর ও কষ্টদায়ক। শীতে শুকনা আবহাওয়ার কারণেই ঠোঁট বেশি ফাটে।
ঠোঁটের গড়ন সবার একইরকম হয় না। ঠোঁট মোটামুটি চার ধরনের। পুরু ঠোঁট, পাতলা ঠোঁট, চওড়া ঠোঁট আর ছোট ঠোঁট। এই মৌসুমে ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। কখনও ঠোঁট ফাটে, কখনওবা কালচে ভাব চলে আসে।আর তাই শীতে ঠোঁট ফাটা রোধ করতে পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভয়েল, লিপজেল ও মধু, জলপাই তেল, লবণ, ঘি ও খাঁটি সরষের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
পেট্রোলিয়াম জেলি ও অলিভয়েল, লিপজেল
শীতে শুকনা আবহাওয়ার কারণেই ঠোঁট ফাটার প্রবণতা বাড়ে।ঠোঁট ফাটা রোধ করতে ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি ও অলিভয়েল, লিপজেল লাগাতে পারেন। এতে প্রতিকার পেতে পারেন।
মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস
ঠাণ্ডা লেগে অনেক সময় নাক বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। ফলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেয়ার প্রবণতা বাড়ে। ঠোঁট ফাটলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস কম নিতে হবে। তাহলে ঠোঁট ফাটা কমে যাবে।
জলপাই তেল ও লবণ
ঠোঁট ফাটা বন্ধে জলপাই তেল ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া লেবু, লবণ, মধু ও জলপাই তেল একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাবার তৈরি করা যাবে। সপ্তাহে দুই দিন এটি ব্যবহারে ঠোঁটের মরা চামড়া উঠে যাবে।
ঘি বা খাঁটি সরষের তেল
রাতে ঘুমানোর আগে ঘি বা খাঁটি সরষের তেল হালকা গরম করে নাভিতে লাগান। যা ভেতর থেকে ঠোঁট ফাটার প্রবণতা কমায়। টানা কয়েক দিন লাগালে শীতের সময় ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
গোলাপের পাপড়ি
এক টেবিল চামচ গোলাপের পাপড়ির এক টেবিল চামচ গ্লিসারিন দিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। নিয়মিতভাবে ঠোঁটে মাখলে কালচে ভাব দূর হবে। ঠোঁটকে মসৃণ রাখতেও সাহায্য করবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি