অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক তৌকির আহমেদ। অভিনয় ও নির্মাণের কুশলী শিল্পী হিসেবে তাঁর খ্যাতি রয়েছে। নতুন সিনেমা ‘হালদা’ নিয়ে তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন। ‘হালদা’ নিয়ে নানা বিষয়ে কথা জানান তৌকির আহমেদ।
আপনার ‘হালদা’ সিনেমাটি ডিসেম্বরে মুক্তি পাচ্ছে?
হ্যাঁ, ডিসেম্বরে রিলিজ হবে। সেভাবেই কাজ এগুচ্ছে।
‘হালদা’র গল্প সম্পর্কে কিছু বলুন?
হালদা এ দেশের মানুষের গল্প। হালদাপারের জনপদ এখানে মুখ্য। একইসঙ্গে নদী, গ্রামবাংলা
যেটা বাংলাদেশের প্রধান জনগোষ্ঠী, তাদের গল্প।
পঞ্চম ছবির নির্মাণে এসে নিজের কাছে নিজেকে কীভাবে পেলেন?
আমরা চেষ্টা করি। আসলে অনেক লিমিটেশন থাকে। লিমিটেশনকে অতিক্রম করে উন্নতি করে যাওয়াটা সবসময় সহজ নয়। এটাও বলতে চাই, নির্মাতার কাজ ভালো যেমন হয়, খারাপও হতে পারে। সবসময় ভালো হবে সেই নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। সৃষ্টিশীল কাজই হচ্ছে নিজেকে আবিষ্কারের চেষ্টা। কখনো ভালো হবে। কখনো অত ভালো নাও হতে পারে।
নতুন কাজ নিয়ে অভিজ্ঞতা কেমন?
আমার পূর্ববর্তী সিনেমাগুলোকে খুব ভালোভাবে হল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি আসলে। সেটা প্রমোশনের ব্যর্থতা বলেন বা প্রযোজনার ব্যর্থতা; ‘জয়জাত্রা’র প্রযোজনায় আমি নিজে ছিলাম। তখনও আমি খুব বেশি হলে সিনেমাটিকে নিতে পারিনি। সেই জায়গা থেকে, যদিও পরে অনেক দর্শক প্রশংসা করেছে। তারা অনলাইনে ইউটিউবে বা টেলিভিশনে দেখেছে। কিন্তু এবার আমার চেষ্টাটা আছে যেন হলে সিনেমাটা ঠিকমতো পৌঁছানো যায়। সেভাবেই আমি কাজ করছি। অভিজ্ঞতা চিত্র, যারা ঢাকা অ্যাটাকের রেডিয়েন্ট করলো, উনাদের মাধ্যমে আমার সিনেমাটা ডিসট্রিবিউশন করছি। একইসঙ্গে চেষ্টা করছি, দর্শক যেন সিনেমাটা পছন্দ করেন।
সেই চেষ্টাটা কী রকম?
হলের কথা মাথায় রেখে ছবির দৈর্ঘ্য পূর্ণদৈর্ঘ্য করেছি। এতে বেশকিছু গান রেখেছি।
‘হালদা’ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
আমার মনে হয়, ছবিটি দর্শক দেখবেন এবং হতাশ হবেন না।
আপনি সিনেমায় গান লিখেছেন?
বেশিরভাগ গান লিখেছেন পিন্টু ঘোষ। একটা গান আমি লিখেছি।
‘হালদা’র চিত্রনাট্য আপনার নিজের, কিন্তু গল্প?
গল্প আজাদ বুলবুলের। তাঁর একটি গল্পের উপর বেজ করে চিত্রনাট্য লিখেছি।
এই মুহূর্তে নতুন কোনো কাজের কথা ভাবছেন কি?
‘হালদা’ মুক্তির পর নতুন কাজ নিয়ে বলব। এটুকু বলি, ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে একটা কাজের পরিকল্পনা আছে।
কী নাম?
‘ফাগুনের হাওয়ায়’। হাফিজুর রহমান টিটুর গল্প থেকে করব। গল্পটি লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়েছিল। সেই গল্প থেকে সিনেমাটা হবে।