২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:০৪

গুগল ম্যাপে ধরা পড়ল ভিনগ্রহের যান

বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক :

সেই কবে থেকে চলেছে তর্কটা। অন্য গ্রহের প্রাণীরা কি সত্যিই আসে পৃথিবীতে? সেই বিতর্কে নতুন ইন্ধন জোগাল গুগল ম্যাপ ও গুগল আর্থ-এর রহস্যময় এক ছবি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার এক বিরাট ফাঁকা প্রান্তরের মাঝখানে একটা তিনকোনা বস্তু দেখা গিয়েছে, যাকে ইউএফও বলেই মনে করা হচ্ছে। ওই যান থেকে উজ্জ্বল আলোও বেরতে দেখা যাচ্ছে।

পৃথিবীর বাইরে কি কোথাও নেই প্রাণের স্পন্দন? এই নীল রংয়ের গ্রহের বাসিন্দারাই ব্রহ্মাণ্ডে নিঃসঙ্গ! এ প্রশ্ন আজকের নয়। মানুষ বিশ্বাস করেছে অন্য গ্রহেও রয়েছে প্রাণ। কেবল আমাদের সঙ্গে তাদের দেখা হওয়াটা বাকি।

সেই উনবিংশ শতাব্দীতে লেখা এইচ জি ওয়েলসের ‘ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস’ উপন্যাসে দেখা গিয়েছিল মঙ্গলগ্রহের প্রাণীদের। তারা আক্রমণ করেছিল পৃথিবীকে। সেই থেকে সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে বারে বারে ফিরে এসেছে ভিনগ্রহের বাসিন্দারা।

কিন্তু কেবল লেখক বা পরিচালকের কল্পনাতেই নয়, বাস্তবেও ভিনগ্রহের প্রাণীদের অজানা উড়ন্ত চাকি দেখার দাবি করেছেন অনেকে। এই নিয়ে চলেছে নানা তর্ক-বিতর্ক। এরিক ফন দানিকেন তাঁর বিভিন্ন বইতে দাবি করেছেন, ভিনগ্রহের প্রাণীরা সেই অতীতকাল থেকে পৃথিবীতে এসেছে। এমনকী, মানবসভ্যতার অগ্রগতির পিছনেও রয়েছে তাদের অবদান।

দশকের পর দশক চলে আসতে থাকা এই বিতর্কের সমাধান কবে হবে তা কে বলবে! নাসার গর্ডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজের শীর্ষস্থানীয় এক বিজ্ঞানী টনি ডেল জেনিও বলেছেন, ‘আর দুটো দশকের মধ্যেই খোঁজ মিলবে ভিনগ্রহের প্রাণীদের।’

যে তিনকোনা মহাকাশযান নিয়ে এত কথা, তেমনই এক যান প্রথমে দেখা গিয়েছিল ২০০৭ সালে। যদিও অনেকেই দাবি করেছিলেন, প্রকৃতপক্ষে ওটা পোল্যান্ডের আলভেরিনা স্টুডিওর তৈরি করা এক যান, যা চলচ্চিত্র, ভিডিও গেম বা সঙ্গীতের অ্যালবাম শ্যুট করার সময়ে ব্যবহৃত হয়।

২০১১ সালে আবারও নাসার পর্যবেক্ষকরা একটি বিচিত্র সাদা চিহ্ন দেখতে পান পৃথিবীর বুকে। এ বার আবারও এক অজানা চাকি নিয়ে ঘনাল রহস্য।

তথ্য সূত্র: ebela

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ২৮, ২০১৭ ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ