জার্মানির ডুসলডর্ফে এক ভিডিও সম্মেলনে ঝ্যাং জানান, এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইউরোপের দেশগুলোর লড়াই চলতে পারে দুই বছর পর্যন্ত। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে এই বিশেষজ্ঞের বক্তব্য ছিল, ‘ভাইরাসের সংক্রমণ কমা-বাড়া এবং এক বা দুই বছর পর্যন্ত থাকা একেবারেই স্বাভাবিক।’ তার পরের বক্তব্য তিনি বলেন, ‘জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোর জন্য ভাইরাসটি হবে ভয়ানক, আর নিকট ভবিষ্যতে বৈশ্বিক এ মহামারি থামবে, এমনটা ভাবাও হবে ভুল।’
এর আগে ঝ্যাং ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, চীনে এপ্রিল থেকে জুনে এ ভাইরাসের সংক্রমণ আরও ভয়ঙ্কর হবে। তবে গ্রীষ্ম মৌসুমে এটি কমে যাবে। আবারও শরৎ ও শীত মৌসুমে এটি ফিরতে পারে এবং ২০২১ সালের বসন্তে নতুন করে ভাইরাসটির সংক্রমণ উচ্চমাত্রায় পৌঁছাবে।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে পুরো বিশ্ব এক হয়ে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নিলে এর মাত্রা কমতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঝ্যাং। বিশ্বের সব মানুষ যদি ‘চার সপ্তাহ ঘরের বাইরে না যায়’ তাহলে করোনার সংক্রমণ থামার সম্ভাবনা দেখছেন এ বিশেষজ্ঞ। কিন্তু ইউরোপে এ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এ বিশেষজ্ঞ। তবে প্রত্যেক দেশ আগ্রাসী পদক্ষেপ নিলে এ ভাইরাসকে থামানো ‘সময়ের ব্যাপার মাত্র’, এমনটাও মনে করেন ঝ্যাং।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথমবার এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। তারপর থেকে বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ১৬ হাজার পাঁচশর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ ২ হাজারের বেশি।