স্বাস্থ্য ডেস্ক:
আমরা সবাই জানি যে হলুদ নানা গুণে ভরপুর। সুস্বাস্থ্যের জন্য রান্না খাওয়াতে, রান্নার রঙ সুন্দর লাগার জন্য হলুদ ব্যবহার করা হয়। ভেষজ ঔষধ হিসেবেও হলুদের রয়েছে নানা ব্যবহার। আর রুপচর্চার কথা তো আর আলাদাভাবে কিছু বলার নেই। ত্বকের উজ্জলতা বাড়ানো, ব্রণ, দাগ তোলা কতো কিছুর জন্যই না ব্যবহার করা হয় হলুদ। হলুদ আমাদের কতো উপকার করে থাকে। তাই বলে কি হলুদ আমাদের কোনো ক্ষতি করে না? অবশ্যই করে, সব জিনিসেরই ভালো-মন্দ দুই দিকই থাকে। ঠিক তেমন হলুদেরও আছে কিছু ক্ষতিকর দিক। আসুন তাহলে জেনে নেই হলুদ আমাদের দেহে কি কি ক্ষতি করে থাকে।
পেট খারাপ: অনেকে বলেন প্রতি দিন কয়েক চা চামচ হলুদ খাওয়া উচিত। কিন্তু, দীর্ঘ দিন বেশি পরিমাণে হলুদ খেলে ডায়েরিয়া, বমি বমি ভাব বা ঘাম (সবার ক্ষেত্রে নয়) হতে পারে।
রক্তক্ষরণ: রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় হলুদ। তাই অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট ও অ্যান্টিপ্লেটিলেট ওষুধ খেলে হলুদ এড়িয়ে চলাই ভালো।
কেমোথেরাপি: অতিরিক্ত হলুদে কেমোথেরাপি প্রভাব নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন তাদের হলুদ না খাওয়াই উচিত।
অ্যালার্জি: সাধারণত ডিম, চিংড়ি ইত্যাদি নানা খাবার থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণা জানাচ্ছে হলুদ থেকেও অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া: হলুদে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাত করে কমিয়ে দিতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস নেই, তাদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট প্রতিরোধ করার সম্ভাবনা থাকে।
কিডনিতে পাথর:
হলুদ অনেক সময় ক্যালসিয়াম অক্সালেটের বিপাক পরিবর্তিত করে দেয়। অক্সালেট জমে কিডনিতে পাথর তৈরি করে।
রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা নেই হলুদের: হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিনকে অত্যন্ত উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মনে করেন চিকিত্সকরা। তবে গবেষকরা এই কারকিউমিনকে অস্থায়ী, প্রতিক্রিয়াশীল, নন-বায়োঅ্যাভেলেবল যৌগ বলে ব্যখ্যা করেছেন। বেশি হলুদ নানা ধরনের ওষুধের কাজে বাধা দেয়। যেমন অ্যাসপিরিন, ওয়ারফারিন এবং কিছু স্টেরয়েডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তথ্য সূত্র: এমসিডিসি
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ