স্পোর্টস ডেস্ক:
ঢাকায় বসেছে হকিতে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় আসর দশম এশিয়া কাপ হকি। যাকে এশিয়ার বিশ্বকাপও বলে। ৩২ বছর পর এই আসরের আয়োজক হয়েছে বাংলাদেশ। আট দলের আসরে বুধবার বাংলাদেশ দলের শুরুটা হয়েছে বাজে অভিজ্ঞতা দিয়ে। পকিস্তানের বিপক্ষে রাসেল মাহমুদ জিমিরা হেরেছে ৭-০ গোলে। ওই স্কোর লাইন মাঠে স্বাগতিকদের নতজানু পারফরম্যান্সের কথা বলছে। কিন্তু আয়োজক হিসেবেই কি সবকিছু ঠিকঠাক করতে পারছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন? বৃহস্পতিবার সকালে যেমন চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না স্টেডিয়ামে। যে কারণে সকালে টার্ফে ছিটানো গেল না পানি। আর তার বড় মূল্য দিল স্বাগতিক বাংলাদেশ দল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ পরের দিন। অথচ তার আগের শুধু ওয়ার্ম আপ শেষে বাংলাদেশ দল ফিরে গেল হোটেলে।
ভাগ্যিস যা সর্বনাশ তা বাংলাদেশ দলেরই হয়েছে। অন্য বিদেশি দলের ক্ষেত্রে এমন হলে আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেত। অথচ বাংলাদেশ দল হোটেলে ফেরার পর ভারত মাঠে এল প্র্যাকটিসের জন্য। তারা টানা একঘণ্টা ঘাম ঝরালো মাঠে। ভারত ম্যাচের আগে এই অনুশীলনটা সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল বাংলাদেশের। অনুশীলন করতে না পারায় হতাশা ঝরলো লাল-সবুজের কোচ মাহবুব হারুনের কণ্ঠেও। অবশ্য তা মনে জমাট রেখে মুখে বললেন, ‘অনুশীলন করতে পারলে যে ভারতের বিপক্ষে ভালো করে ফেলব, সেটা কিন্তু নিশ্চিত না। মাঠে আমাদের ভালো খেলতে হবে। ভুলগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, ভুলগুলো সংশোধন করতে হবে। মাঠে তা সঠিক প্রয়োগ করতে হবে।’
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ