ক্রীড়া প্রতিবেদক :
ঠিক আগের ম্যাচে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। সেখানে মোহামেডানের রকিবুল হাসানের ১৯০ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস সত্ত্বেও জয় পায় আবাহনী। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পরের ম্যাচে জিতেছে দুটি দলই। তবে তা একেবারেই ভিন্নভাবে। পরশু ভিক্টোরিয়াকে যেখানে আয়েশে আট উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী; সেখানে পারটেক্সকে হারাতে কালঘাম ছুটেছে মোহামেডানের। শেষে ‘ব্যাটসম্যান’ তাইজুল ইসলামের ব্যাটে ভর করে দুই উইকেটে জিতে সুপার সিক্সে ওঠার কক্ষপথে রইল দলটি।
অথচ পারটেক্স ২২৯ রানে অলআউট হওয়ার সময় এমনটা ভাবা যায়নি। মোহামেডান ১৫২ রানে সাত উইকেট হারিয়ে নিজেদের পথ করে তোলে পিচ্ছিল। অষ্টম উইকেটে তাইজুল ও সাজেদুল ইসলামের ৭৬ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে সাদা-কালোরা। সাজেদুল ২৭ করে আউট হলেও তাইজুল ৫১ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৯ খেলায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে মোহামেডান। অন্যদিকে ২ পয়েন্টের ব্যবধানে পারটেক্স ১১ নম্বরে।
৯ ম্যাচ শেষে লিগের একমাত্র জয়হীন দল ভিক্টোরিয়া। মানান শর্মার চার উইকেটে আবাহনীর বিপক্ষে ১৩০ রানে অলআউট হয়ে পরাজয়ের পথ করে রাখে দলটি। জবাবে দুই ওপেনার লিটন দাশ (৫০) ও সাদমান ইসলামের (৫৮*) ফিফটিতে মাত্র ২০.৫ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে আবাহনী। ৯ খেলায় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে তারা; কেবল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের পেছনে।
পরশুর আরেক ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বর ২৯ রানে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। শেষ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ২৭৬ রান তোলে দোলেশ্বর। অথচ রূপগঞ্জ পুরো ৫০ ওভার খেলে মাত্র ছয় উইকেট হারিয়েও ২৪৭-এর বেশি করতে পারেনি। পরাজিত দলের মোশাররফ হোসেনের পাঁচ উইকেট কিংবা নাঈম ইসলামের ৭৮ রান বিফলে গেছে জয়ী দলের শরিফুল্লাহর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে। ব্যাটিংয়ে ৮২ রান করার পর বোলিংয়েও তিনি নেন তিন উইকেট। এই জয়ে দোলেশ্বরের পয়েন্ট হলো ৯ খেলায় ১২। ২ পয়েন্ট পেছনে থাকল রূপগঞ্জ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ভিক্টোরিয়া : ৪২.৪ ওভারে ১৩০ (আরাফাত ৪৭; মানান ৪/২১, সাইফ ২/১৮, আরিফুল ২/১৮)। আবাহনী : ২০.৫ ওভারে ১৩৪/২ (সাদমান ৫৮*, লিটন ৫০; আরাফাত ১/১৮)। ফল : আবাহনী লিমিটেড ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মানান শর্মা।
পারটেক্স : ৪৯.৩ ওভারে ২২৯ (রাকিন ৪৬*; কামরুল ৩/৫৪, তাইজুল ২/৩৬)। মোহামেডান : ৪৮.২ ওভারে ২৩৪/৮ (তাইজুল ৫৭*, আসালাঙ্কা ৪৭; যতনি ২/৩৬, ইমরান ২/৩৬)। ফল : মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তাইজুল ইসলাম।
প্রাইম দোলেশ্বর: ৪৯.৫ ওভারে ২৭৬ (শরিফুল্লাহ ৮২*, মার্শাল ৬০; মোশাররফ ৫/৫৭)। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ : ৫০ ওভারে ২৪৭/৬ (নাঈম ৭৬, হাসানুজ্জামান ৫০; শরিফুল্লাহ ৩/৩২)। ফল : প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ২৯ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শরিফুল্লাহ।