লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
সারাদিন কাজের শক্তি ও পুষ্টি যোগায় সকালের নাস্তা। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সকালের নাস্তা ভালো মতো করেন, তারা দীর্ঘজীবী হন। তাদের রোগ-ব্যাধিও কম হয়। সকালের নাস্তা ক্ষুধা কম লাগা, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও হ্জমেও সহায়ক। অনেক্ষণ না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে, যার জন্য আপনি হয়তো সারা জীবন ভুগবেন।
তাই আপনার সারাদিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবারটি সম্পর্কে সচেতন হউন, শরীরটিকে বাঁচান এবং কর্মক্ষম থাকুন। নাস্তায় একটু পরিবর্তন এনে দিনভর থাকতে পারেন সতেজ ও চনমনে।
সব বয়সের সবার জন্যেই সকালের নাস্তা দরকারি। কারণ সারা রাত অনেক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে আমাদের শরীরে রক্তের গ্লুকোজ কমে যায়। ফলে শরীরের শক্তি কম অনুভব হয়। নাস্তা করলে সেই শক্তি আবার ফিরে আসে। নাস্তা না করলে ব্রেইনের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।
সকালের নাস্তা ভালো মতো করলে সারাদিন কম খাওয়া হয়। কারণ নাস্তা খাওয়ার ফলে পেট ভরা লাগে, পরবর্তীতে কম খাওয়া হয়। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। সকালের নাস্তা সময় মতো করলে শরীরকে তার খাবার সময় মতো দেওয়া হয়। ফলে সারাদিন সব খাবার ঠিক সময় খেলে, রাতে ভালো ঘুম হয়। এটা মেটাবলিসম শুরু করতে ও বাড়াতেও সহায়তা করে। কারণ সকালের নাস্তা পেটে যাবার মাধ্যমেই আপনার হজম প্রক্রিয়া শুরু হয়। সকালের নাস্তা না করলে সারাদিন একটি খাই খাই ভাব থাকে। ফলে দিনের পরবর্তী খাবারগুলো বেশি পরিমাণে খেতে ও বেশি ক্যালরি, চিনি ও ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতে ইচ্ছা করে। অধিক পরিমাণে ও অধিক ক্যালরি ও ফ্যাট যুক্ত খাদ্য খাবার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
সকালে খেলে সারাদিন কাজের শক্তি ও পুষ্টি পাওয়া যায়। সারাদিনের কাজেও মনযোগ আসে যদি সকালের নাস্তা ঠিক মতো করা হয়, তাহলে মন মেজাজ ও ঠিক থাকে, কাজে গতি বাড়ে। সকাল ৮ থেকে সাড়ে ৮টার এর মধ্যে সকালের নাস্তা খেলে ভালো। এ ক্ষেত্রে রুটি, সবজি, ডিম, কলা রঙ চা, দুধ, ব্রেড, ফল, চিড়া, দই, সুজি ইত্যাদি খাবারকে রকমফের করে সুষম নাস্তা খাওয়া যেতে পারে।
এছাড়া যদি আপনার সকালে ভারি খাবার খেতে সমস্যা না হয় তাহলে সকালেই মাছ, মাংস টাইপ খাবার গুলো খেয়ে নিতে পারেন। তাহলে আর সারা দিন পেটে ফেট জমার চান্স অনেকটা কমে যাবে। সকালের নাস্তা খাওয়ার ২০ মিনিট পর পানি এবং চা খাওয়া যেতে পারে।
তথ্য ও ছবি: ইন্টারনেট
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ