২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:১০

ক্ষমতাসীনদের দখলে ৭ পশুর হাট, রাজস্ব কমবে ১০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ক্ষমতাসীনদের দখলে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাট চলে যাওয়ায় প্রায় ১০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে ঢাকা (দক্ষিণ-উত্তর) সিটি করপোরেশন। ঈদুল আযহা উপলক্ষে গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাটসহ মোট ২৪টি কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১৬টি হাটের মধ্যে ৭টি পশুর হাট কোনো ধরনের দরপত্র ছাড়াই বসানো হয়েছে। তবে দরপত্র দিয়েই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৭টি পশুর হাট বসেছে। চলতি বছরে কোরবানির পশুর হাট থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হওয়ার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে দরপত্র ছাড়া হাট ইজারার অভিযোগের বিষয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, নগরবাসীর সুবিধার জন্য পশুর হাটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইজারার মাধ্যমে ৯টি এবং খাস আদায়ের মাধ্যমে ৭টি হাট বসেছে। ইজারা দেওয়া হাটগুলো থেকে ৬ কোটি ২৯ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব পাবে ডিএসসিসি। এর থেকে ২০ শতাংশ বিভিন্ন চার্জ বাদ দিয়ে ডিএসসিসির রাজস্ব যোগ হবে ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ ছাড়া দরপত্র ছাড়া বংশালের সামসাবাদ মাঠের আশপাশের হাট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা খাস আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। আর অন্য ছয় হাট থেকে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি সূত্র। এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী  বলেন, ‘দরপত্রের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হাটের সংখ্যা ডিএসসিসি এলাকার জন্য পর্যাপ্ত নয়।’ এদিকে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে এলাকাবাসী আবেদন করেছে। এ জন্য ৭টি পশুর হাট খাস আদায়ের মাধ্যমে বসার অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘খাস আদায়ে হাট বরাদ্দ না দিলে কোরবানির পশু সংগ্রহে নগরবাসী ভোগান্তিতে পড়বে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশন রাজস্ব হারাবে।’ দরপত্র ছাড়া ডিএসসিসি এলাকায় কোরবানির পশুর হাটগুলো হলো- ঢাকা হাইড মাঠ, সামসাবাদ মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, কাউয়ারটেক মাঠ, পোস্তগোলা শিল্প অঞ্চলের খালি জায়গা, লালবাগ বেড়িবাঁধ, গোলাপবাগ মাঠ এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ৭টি পশুর হাট থেকে ১০ কোটি ৮০ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা ইজারা দেওয়া হয়েছে। গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাটে ১৪ কোটির বেশি টাকা ইজারা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘৭টি কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাট থেকে ১০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবো। গাবতলীর হাট থেকেও আমরা কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করেছি।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার পশুর হাটগুলো হলো- বাড্ডার আফতাবনগর, ভাটারা সাঈদনগর পশুর হাট, বসিলা পুলিশ লাইন্সের জায়গা, উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর গোলচত্বর সংলগ্ন খালি জায়গা, খিলক্ষেত ৩০০ ফুট সড়ক সংলগ্ন, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা ও মিরপুরের ডিওএইচএস সংলগ্ন উত্তর পাশের খালি জায়গা।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :আগস্ট ৩০, ২০১৭ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ