ধর্ম ডেস্ক:
‘জমজম’ আল্লাহ তাআলার দেয়া অনন্য নিদর্শন ও রহমত। ভূপৃষ্ঠের সেরা পানি এ জমজম। হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের পদাঘাতে সৃষ্ট কুয়ার এ পানি পানে মুসলিম উম্মাহর হৃদয় শীতল হয়।
হজ ওমরা ও জিয়ারতকারীরা পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের পর মাকামে ইবরাহিমে দু রাকাআত নামাজ আদায় করে তৃপ্তি সহকারে এ পানি পান করা।
দুনিয়ার অন্যান্য পানি বসে পান করতে হয়। আর জমজমের পানি দাঁড়িয়ে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে পান করতে হয়। পানি পান করার পর কিছু পানি মাথায় দিবে।
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এ পানি পান করার সময় একটি দোয়া বর্ণনা করেছেন-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ই’লমান নাফিআ’; ওয়া রিযক্বান ওয়াসিআ’; ওয়া আ’মালান সালিহা; ওয়া শিফাআম মিং কুল্লি দা-য়িন।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের উপকারী জ্ঞান দান করুন; আমাদের রিযিকে বরকত দিয়ে দিন; আমাদের নেক কাজ করার তাওফিক দান করুন; সকল অসুস্থতাতে শেফা বা সুস্থতা দান করুন।
জমজমের পানি পানের ফজিলত
১. প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠের সেরা পানি হল জমজমেরপানি। এর মধ্যে রয়েছে পুষ্টিকর খাদ্য এবং রোগ হতে আরোগ্য।’
২. অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘এটি (জমজমের পানি) বরকতময় পানি।’
৩. প্রিয়নবি আরো বলেন, ‘এই পানি কোনো রোগ থেকে আরোগ্য লাভের উদ্দেশ্যে পান করলে তোমাকে আল্লাহ আরোগ্য দান করবেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ