২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:৫৮

সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন না তো?

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিজেকে সুন্দরী দেখাতে চান সবাই৷ এর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিউটি পার্লারে সময় কাটাতে পেছ পা হন না তারা৷ তাছাড়া বিভিন্ন ধরণের এক্সপেরিমেন্ট তো রয়েইছে৷ কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন নিজেকে আকর্ষক দেখাতে গিয়ে আপনাকে সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে৷ না বুঝে যেকোনো ধরণের বিউটি ট্রিটমেন্ট বা বিউটি পার্লারের চক্কর কাটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারীরা বিউটি সেলুনে বিভিন্ন ধরণের ট্রিটমেন্টের আশ্রয় নেন কিন্তু তারা এটা দেখতে ভুলে যান যে বিউটি পার্লারে যে প্রোডাক্টগুলো ব্যবহৃত হয় সেগুলো ঠিক কিনা৷ সেখানে সঠিক উপায়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা হয় কিনা৷

১. শরীরের অতিরিক্ত লোম থেকে মুক্তি ও সুন্দর ত্বকের জন্য ওয়াক্সিং সঠিক কিন্তু এর প্রতি আপনার অবহেলা স্কিন ইনফেকশনের কারণ হতে পারে৷ কারণ ওয়াক্সিংয়ের জন্য ব্যবহৃত ওয়াক্সের কোয়ালিটির উপর সাধারনত কেউই নজর দেন না৷ এতে সবচেয়ে জরুরী হল পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া৷ ওয়াক্সিংয়ের সময় ডিসপোজাল স্ট্রিপ্স ব্যবহার করা উচিত৷ কাপড়ের স্ট্রিপ্স একেবারেই নয়৷ অনেক সময় একসঙ্গে অনেক কাস্টমারের ওয়াক্সিং করা হয় এবং এতই ওয়াক্স স্ট্রিপ্সের ব্যবহার করা হয়, এটি  সরাসরি ইনফেকশনের কারণ৷ তাই এরপর থেকে ওয়াক্সিংয়ের সময় খেয়াল রাখবেন যাতে নতুন ওয়াক্স ও স্ট্রিপ্স ব্যবহার করা হয়৷ ওয়াক্স করা সময় যে টুল ব্যবহার করা হয় তাও যেন স্টেরিলাইজড হয়৷ অন্য কারোর ত্বকে ব্যবহৃত ওয়াক্স বা টুল ব্যবহারের ফলে ইনফেকশন হতে পারে৷

২. আজকাল চুলে কালার করার ফ্যাশন তুঙ্গে৷ মেয়েরা হেয়ার স্ট্রিপ্স কালারিং বা হেয়ার ব্লিচ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে৷ কিন্তু কালারিং বা ব্লিচ গোটা চুলেই হোক বা সামান্য কিছু অংশে ক্ষতি পরিমাণ একই থাকে৷ হেয়ার ডাই বা কালারে বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল থাকে৷ যেমন, পিপিডি, অ্যামোনিয়া, সালফেট,  হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এগুলো সবই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর৷ এতে অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে৷ বেশ কিছু হেয়ার ডাই ও ব্লিচে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যামোনিয়াম সালফেট থাকে যা ত্বকেও ক্ষতি করতে পারে৷ এছাড়াও বারবার বা কম সময়ের ব্যবধানে চুলে ট্রিটমেন্ট করলে চুলের আগা দুর্বল হয়ে পরে এবং চুল পরার সমস্যা বেড়ে যায়৷

৩. হেয়ার স্ট্রেটনিং এখন খুবই সাধারণ ব্যাপার৷ তাই চুল স্ট্রেট করার জন্য বাজারে প্রচুর স্ট্রেটনিং আয়রন পাওয়া যায়৷ কিন্তু এই ধরণের হেয়ার ট্রিটমেন্ট চুলের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর৷ বাড়িতে হোক বা পার্লারে চুল স্ট্রেট করার জন্য কেমিক্যাল, স্ট্রেটনার ও ড্রায়ার ব্যবহার করা হয়৷ এগুলি সবই চুলের আর্দ্রতা কমিয়ে চুলকে রুক্ষ করে দেয়৷ ফলে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে ও খুব সহজেই পড়ে যায়৷ যেকোনো ধরণের স্ট্রেটনিং মাত্র কিছু সময়ের জন্যই হয় এবং একে বার বার করার প্রয়োজন পরে৷ ফলে চুলে বার বার কেমিক্যাল বাহার করতে হয় যা চুলের ব্যাপক ক্ষতি করে৷

৪. হাত-পা সুন্দর রাখার জন্য পেডিকিওর-ম্যানিকিওর মাস্ট৷ কিন্তু এই ধরণের ট্রিটমেন্টের জন্য সবচেয়ে বেশি বিউটি টুলসের প্রয়োজন পরে৷ এই টুলস থেকেই হাজারো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে৷ এই সরঞ্জামগুলো সবই আপনার ত্বকের সংস্পর্শে আসে৷ তাই এগুলো যদি স্টেরেলাইজ না থাকে তবে এগুলো থেকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে৷ পেডিকিওর করার সময় গরম জল ও সাবানের ব্যবহার করা হয়ে থাকে, এতেও হাজারো ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে৷ কারণ সমস্ত ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য পানিকে ভালো করে গরম করা প্রয়োজন৷ এছাড়াও অনেক সময় সাবানের কোয়ালিটিও খারাপ হতে পারে৷

৫. আপনি নিশ্চই কখনও চাইবেন না নিজেকে সুন্দরী দেখাতে গিয়ে শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা ভোগ করতে৷ তাই বিউটির সঙ্গে নিজের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিন৷ যেকোনো বিউটি ট্রিটমেন্টের আগে সেগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন সঙ্গে পরিচ্ছন্নতার খেয়াল রাখুন৷

তথ্য ও ছবি : ইন্টারনেট

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :আগস্ট ১৯, ২০১৭ ৩:১৯ অপরাহ্ণ