নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিরসরাই উপজেলার মিঠাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। ৫ বছর আগে দ্বিতল ভবনটি উপজেলা প্রকৌশলী পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পরও পর্যাপ্ত ভবন না থাকায় সেখানেই পাঠদান পরিচালনায় বাধ্য হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ে শিক্ষার্থীরা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মিঠাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৪৭ সালে। আর মূল ভবনটি নির্মিত হয় ১৯৬৫ সালে। ৫২ বছর আগে নির্মিত এই ভবনটিতে বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগের ৭টি ক্লাস চলে। বাকি যে ভবনটি রয়েছে, সেখানে শ্রেণিকক্ষের সংকুলান হয় না। ফলে বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতেই ক্লাস নিতে হচ্ছে শিক্ষকদের।
প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, ‘পরিত্যক্ত ভবনটিতে বেশ কয়েকবার বিদ্যালয়ের নিজস্ব উদ্যোগে সংস্কারকাজ করা হয়েছে। একদিকে সংস্কার করলে আরেকদিকে ভেঙে যায় দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থান। ইতোমধ্যে নতুন ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে বিষয়টি। এখনো ভবন নির্মাণে আশানুরূপ কোনো সাড়া পাননি বলে জানান তিনি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পরিত্যক্ত ভবনটিতে বিভিন্ন বিভাগের ৫টি ক্লাস চলছে। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের দেয়াল এবং ছাদে ফাটল রয়েছে। পলেস্তারা খসে আছে অনেক জায়গায়।
দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ইতোমধ্যে ক্লাস চলাকালীন বেশ কয়েকবার পলেস্তারা খসে পড়েছে। ক্লাসে তারা বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। শিক্ষক মিলনায়তনের অবস্থাও ভালো নয়। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। পলেস্তারা ধসে পড়ার আশঙ্কায় থাকেন শিক্ষকরাও।
শিক্ষকরা জানান, ১২০০ শিক্ষার্থী পড়ে মিঠাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ না করা হলে সংকট আরো তীব্র হবে।
মিঠাছড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘অত্যন্ত প্রাচীন এই বিদ্যালয়ের ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক। শীঘ্রই নতুন ভবন নির্মাণ না করা হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, মিঠাছরা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। শীঘ্রই এই সংকট কেটে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ