স্বাস্থ্য সেবা:
গরমে-রোদে ক্লান্তি আসে সহজেই। তাই বলে ব্যায়ামের অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া চলবে না। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমেও ব্যায়াম করা যাবে, তবে তখন চাই বাড়তি কিছু সতর্কতা।
* প্রচণ্ড রোদে বাইরে ব্যায়াম না করাই ভালো। ভোরে, বিকেলে বা সন্ধ্যাবেলা বেছে নিন ব্যায়াম করার জন্য।
* ব্যায়ামের কিছুক্ষণ আগে খানিকটা পানি খেয়ে নিন। ব্যায়ামের সময় সঙ্গে পানির বোতল রাখুন। ব্যায়াম শেষেও পানি খেতে হবে বেশি পরিমাণে। কারণ, গরমে ব্যায়াম করলে প্রচুর ঘাম হয়, শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যা না থাকলে সারা দিনে ৫০০ মিলিলিটার স্যালাইন-পানিও খেতে পারেন।
* সম্ভব হলে ব্যায়ামের পর তাজা ফলমূল খান।
ক্স হালকা রঙের আরামদায়ক পোশাক পরুন।
* ব্যায়াম শুরু করুন ধীরেসুস্থে। হয়তো আপনি সাধারণত বেশ ভালো গতিতে দৌড়ে থাকেন, কিন্তু গরম আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে নিজের শরীরকে একটু সময় দিন।
* ছায়াঘেরা স্থানে ব্যায়াম করার সুযোগ থাকলে তা কাজে লাগাতে পারেন। সেটি পার্ক বা মাঠও হতে পারে, আবার বাড়ি বা ব্যায়ামাগারও হতে পারে। সাঁতার কাটতে পারলে একই সঙ্গে ব্যায়ামও হবে, আবার শরীরও খুব বেশি গরম হবে না।
* বাইরে ব্যায়াম করতে যাওয়ার মিনিট ১৫ আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেবেন।
* ব্যায়ামের আগে ও পরে ঠান্ডা গোসলে প্রশান্তি মিলবে।
* ব্যায়ামের পর তোয়ালের মধ্যে বরফ জড়িয়ে নিয়ে ঘাড়ের অংশে ধরে রাখতে পারেন কিছুক্ষণ। শরীর ঠান্ডা হবে।
* গরমে ব্যায়ামের সময় শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে বা পানিশূন্যতা হলে হিটস্ট্রোকের মতো কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন: মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভব করা, মাথাব্যথা, বমিভাব, অতিরিক্ত ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা, মাংসপেশিতে ব্যথা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া বা একদমই ঘাম না হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি বেড়ে যাওয়া। এমন হলে ব্যায়াম থামিয়ে দিন। প্রচুর পানি পান করুন। মুখে মাথায় পানির ঝাপটা দিন। ঘাড়ে ও বগলে পানি বা বরফ দিতে চেষ্টা করুন। সারা শরীরে ঠান্ডা পানি ঢালুন।
এন/এইচ =দেশ জনতা