২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:৩৮

বুফন চুমু খেলেন এমবাপেকে ভাঙা প্রতিরোধ

স্পোর্টস ডেস্ক

জিয়ানলুইজি বুফনের যখন আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় তখন জন্মই হয়নি কিলিয়ান এমবাপের। ইতালিয়ান গোলরক্ষক ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ যখন খেলেন তারও পরে জন্ম হয় এমবাপের। দুই জনের মধ্যে বয়সের ব্যবধান ২১ বছরের। ইতালির জীবন্ত কিংবদন্তি বুফনের বয়স এখন ৩৯ বছর। আর ফ্রান্সের তরুণ স্ট্রাইকার এমবাপের বয়স সবে ১৮ বছর। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালে লড়াইটা ছিল দুই দলের এই দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে। প্রথম লেগে বুফনকে পরাস্ত করতে পারেননি মোনাকোর স্ট্রাইকার এমবাপে। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে তরুণ তুর্কি বুফনকে পরাস্ত করলেন। শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালের প্রথম লেগ- মোট মিলিয়ে ৫ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেনি জুভেন্টাস তথা বুফন। মোট মিলিয়ে ৬৮৯ মিনিট নিদ্র প্রাচীর হয়ে ছিলেন বুফন। কিন্তু এদিন সে প্রাচীর ভাঙলেন এমবাপে। প্রথমার্ধে একবার বুফনকে পরাস্ত করেন তিনি। কিন্তু বল বুফনকে টপকালেও গোলবার এমবাপের সঙ্গে ‘শত্রুতা’ করে। এতে গোলবঞ্চিত থাকেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগান এ তরুণ স্ট্রাইকার। ৬৯ মিনিটে কর্নার এলাকা থেকে বাড়ানো একটি বল দিয়ে দারুণভাবে বুফনকে পরাস্ত করেন তিনি। এরই সঙ্গে বুফনের ৬৮৯ মিনিটের প্রতিরোধ ভেঙে যায়। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে গোলের রেকর্ড গড়েন এমবাপে। বড় মনের মানুষ বুফন ছুটে যান এমবাপের কাছে। বুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান তরুণ এ স্ট্রাইকারের কপালে। এতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সবচেয়ে বেশি মিনিট গোল হজম না করার তালিকায় তৃতীয় স্থানে থেকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে জুভেন্টাসকে। সর্বোচ্চ টানা ৮৫৩ মিনিট গোল হজম না করার রেকর্ড ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের। ২০০৫-০৬ মৌসুমে তারা এই রেকর্ড গড়ে। আর ২০১৪ ও ২০১৬ মৌসুমে টানা ৭৩৭ মিনিট গোল হজম না করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।

এন/এইচ =দেশ জনতা

প্রকাশ :মে ১০, ২০১৭ ২:৫৮ অপরাহ্ণ