ধর্ম ডেস্ক:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘একাকী নামাজ পড়ার চেয়ে জামাআতে নামাজ পড়ায় ২৫ গুণ ছাওয়াব বেশি। হাদিসের অন্য বর্ণনায় ২৭ গুণ বেশি ছাওয়াবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নামাজের জামাআতের গুরুত্ব এবং ফজিলত বেশি হওয়ায় অনেকেই দৌড়াদৌড়ি করে নামাজে উপস্থিত হয়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের জামাআতে অংশ গ্রহণের জন্য ধীরস্থির ও শান্তভাবে আসার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিয়ে বলেন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যখন নামাজের ইকামাত দেয়া হয়, তখন তোমরা নামাজের জন্য দৌড়ে যেও না। বরং ধীরস্থির ও শান্তভাবে যাও। অতঃপর নামাজের (জামাআতে) যতটুকু পাবে তা আদায় করবে আর যে টুকু ছুটে যাবে (মাছবুক হবে) সে টুকু আদায় করবে। নিশ্চয়ই তোমাদের কেউ যখন নামাজের জন্য ইচ্ছা করে চলতে থাকে তখন সে নামাজ অবস্থাতেই আছে বলে ধরা হয়।’(বুখারি ও মুসলিম)
অনেক সময় দেখা যায়, ‘মসজিদে জামাআত শুরু হওয়ার পর মানুষ তাড়াহুড়ো করে দৌড়ে এসে জামাআতে শরীক হয়। আবার ইমাম সাহেব যখন রুকুতে চলে যায় তখন অনেকে দৌড়ে এসে তাড়াহুড়ো করে নিয়ত বেঁধে নামাজের রুকুতে অংশ গ্রহণ করে। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাড়াহুড়ো করে এমনটি করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী জামাআতে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে কেউ যদি মসজিদের দিকে আসতে থাকে, ওই ব্যক্তির মসজিদের দিকে চলাও নামাজ অবস্থায় থাকার শামিল।
জামাআত অনুষ্ঠিত হওয়ার নির্ধারিত সময়ের আগে মসজিদে আসা এবং নামাজের জন্য অপেক্ষা করা মুমিনের অন্যতম গুণ। তাই ধীরস্থির ও শান্তভাবে মসজিদে এসে একাগ্রতার সঙ্গে নামাজ আদায় করাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ।
একান্তই যদি মসজিদে আসার আগে নামাজের জামাআত শুরু হয়ে যায় তবে তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থির ও শান্তভাবে মসজিদে উপস্থিত হয়ে জামাতে অংশ গ্রহণ করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের জামাআতে অংশ নিতে যথা সময়ে মসজিদে আসার তাওফিক দান করুন। আমিন।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ