আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাপান উপকূলে বাণিজ্য জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মার্কিন রণতরীর নিখোঁজ সাত নৌ সেনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার ক্ষতিগ্রস্ত রণতরীটি জাপানের একটি নৌ ঘাঁটিতে ফেরার পর তা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। খবর বিবিসি, সিএনএন ও রয়টার্সের। মার্কিন নেভি ও জাপানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, রণতরীর ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ভেতরেই তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে লাশগুলো ইয়োকোসুকায় অবস্থিত মার্কিন নৌবাহিনীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, নিহতদের খবর তাদের পরিবারকে জানানো হয়েছে এবং দুঃসময়ে তাদের যথাযথ সাহায্য করা হচ্ছে। শিগগিরই নিহত সাত নাবিকের নাম জানানো হবে। এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় দিনগত রাত আড়াইটার দিকে টোকিও উপসাগরের দক্ষিণে এবং বন্দরনগরী ইয়োকোসুকা থেকে ১০৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ফিলিপাইনের পতকাবাহী বাণিজ্য জাহাজ এসিএক্স ক্রিস্টালের সঙ্গে রণতরী ইউএসএস ফিটজগেরাল্ডের সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে রণতরীর সাত নৌ সেনা নিখোঁজ ছিলেন। তাদের উদ্ধারে মার্কিন নৌবাহিনী এবং জাপান কোস্টগার্ড ব্যাপক তল্লাশি চালায়। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় রণতরীর কমান্ডিং অফিসার ব্রাইস বেনসন ও তিন নাবিক আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার হেলিকপ্টারে করে ইয়োকোসুকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরে এক বিবৃতিতে মার্কিন নৌবাহিনী জানায়, ইউএসএস ফিটজগেরাল্ডের স্টারবোর্ড সাইডে পানির উপরে ও নিচে উভয় দিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবিতেও যুদ্ধজাহাজটির একপাশে বড় ধরনের ক্ষতির চিহ্ন দেখা যায়।
কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, কন্টেইনারবাহী জাহাজটিতে ফিলিপাইনের পতাকা রয়েছে এবং জাহাজটির ওজন ৩০ হাজার টন, যা মার্কিন যুদ্ধজাহাজটির প্রায় তিন গুণ। জাপানি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সংঘর্ষের পর জাহাজটিরও হালকা ক্ষতি হয়েছে। পরে এটি জাপানের কোস্টগার্ডের সদস্যরা এসকর্ট করে ইয়োকোসুকায় নিয়ে যায়। মার্কিন নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, দুর্ঘটনার পর জাহাজটি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু জাহাজের নাবিকরা পানি সেচে এটাকে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ