লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কালিতলা সড়কে শুক্রবার রাতে দুস্কৃতিকারীরা ইছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহর উপর বোমা হামলা চালায়। এতে চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ ও ছাত্রলীগ নেতা রায়হান গুরুতর আহত হয়। তাদের রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সুত্রে জানায়,ইছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ শুক্রবার রাত ১২টার দিকে সোন্দড়া গ্রামে পাহারাদারদের খোজ খবর নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে দক্ষিন শ্রীরামপুর রওয়ানা হয়। ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী রায়হান হোসেনসহ চেয়ারম্যান উত্তর শ্রীরামপুর কালিতলা সড়কে পৌছা মাত্রই পুর্ব থেকে ওতঁ পেতে থাকায় দুস্কৃতিকারীরা বৃষ্টির ন্যায় কয়েকটি বোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। হামলার সময় চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতা মোটর সাইকেল থেকে সড়কের পাশের পড়ে গিয়ে চিৎকার দিলে গ্রামে পাহারাদারগন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পুর্বেই দুস্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়।
চেয়ারম্যানের স্ত্রী শাহানাজ বেগম বলেন,শুক্রবার ইফতারের পুর্বে শ্রীরামপুর রায়গো বাড়িস্থ চেয়ারম্যানের বসতঘরে স্থানীয় এমপি লায়ন এম.এ আউয়ালের ছোট ভাই লায়ন এম.এ সালাম লোকজন নিয়ে উপস্থিত হয়ে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি প্রদান করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ বলেন,আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খানের দেওয়ায় ১২শতাধিক দুস্থ্য পরিবারে শাড়ি-লুঙ্গি ও ইফতার সামগ্রী বিতরন করায় এমপির ছোট ভাই লায়ন.এম.এ সালাম ক্ষীপ্ত হয় এবং নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এমপির ভাইয়ের নির্দেশে ইউপির দুখু মেম্বার,সবুজ মেম্বার,আজাদ পাটোয়ারী,মিলন পাটোয়ারী ও সবুজ হোসেন হামলা করতে পারে। এব্যাপারে জানতে চাইলে এমপি লায়ন এম.এ আউয়ালের ছোট ভাই লায়ন এম.এ সালাম বলেন,ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ অণ্যায় ভাবে এলাকাবাসীর উপর হোল্ডিং টেক্স চাপিয়ে দিয়েছে।এতে রমজানে হতদরিদ্র পরিবারগুলো হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। ৪০/৫০জন এলাকাবাসীসহ আমি চেয়ারম্যানের বসতঘরে গিয়ে টেক্স্র কমানোর দাবী করেছি। ভয়ভীতি বিষয়টি সঠিক নয়। থানার ওসি মোঃ তোতা মিয়া বলেন,বোমা নয় ককলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এব্যাপারে চেয়ারম্যান বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম