২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:০৯

ঈদে মার্সেলের আকর্ষণীয় মডেলের ফ্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

স্থানীয় বাজারে মার্সেল ফ্রিজের প্রতি গ্রাহকদের চাহিদা ও আস্থা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে ঘিরে চলতি রমজান মাসে গতবারের চেয় ২৫ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি।

এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাজারে অসংখ্য মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ বিক্রি করছে মার্সেল। প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত করেছে টেম্পারড গ্লাস ডোরের নতুন মডেলের রেফ্রিজারেটর।

মার্সেলের বিপণন বিভাগের লজিস্টিক্স মনিটরিং প্রধান  জানান, রমজান মাসে প্রতিবছরই দেশব্যাপী ফ্রিজের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে এ বছর মার্সেল ফ্রিজের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।

তিনি বলেন, মার্সেল ফ্রিজে সর্বাধুনিক ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির সংযোজন, কম্প্রেসারে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব গ্রিন গ্যাস R600a রেফ্রিজারেন্টের ব্যবহার, দামে সাশ্রয়ী ও সর্বোপরি সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করায় মার্সেল ফ্রিজের গ্রাহকপ্রিয়তা অতি দ্রুত বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি রমজান মাসে বাজারে নতুন নতুন মডেলের আকর্ষণীয় ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে এনেছে মার্সেল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি টেম্পারড গ্লাস ডোরের রেফ্রিজারেটর।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে টেম্পারড গ্লাস দিয়ে চোখ ধাঁধানো ডিজাইন ও কালারে তৈরি করা হচ্ছে এসব ফ্রিজের ডোর। এ ছাড়া, খাবারকে সতেজ ও টাটকা রাখতে এসব ফ্রিজে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ন্যানো হেলথকেয়ার’এর মতো বিশেষ প্রযুক্তি। যা ফ্রিজের খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অনুপ্রবেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ করে। নেগেটিভ আয়ন খাবারকে সজীব ও সতেজ রাখে বলে খাবারের স্বাদ থাকে অক্ষুণ্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত।

মার্সেল সূত্র মতে, গত বছর মার্সেল ফ্রিজে ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এ বছর স্থানীয় বাজারে ২ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৪২ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাজারে ২৫টি মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ বিক্রি করছে মার্সেল। ইতিমধ্যে মার্সেলের ৪৩০ লিটারের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আর আপকামিং মডেলের তালিকায় আছে- ২১৭ লিটারের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরসহ ১০৭ লিটারের বার ফ্রিজ। কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, চলতি রমজানে গ্রাহকদের কাছে ‘হট কেক’হয়ে উঠবে মার্সেলের নতুন মডেলের টেম্পারড গ্লাস ডোরের রেফ্রিজারেটর।

মার্সেল প্রকৌশলীরা জানান, মার্সেলের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ সাধারণ ফ্রিজের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। এই ফ্রিজ তুলনামূলক শব্দহীন এবং ভিতরে বরফ জমে না।

মার্সেল ফ্রিজ আরঅ্যান্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে মার্সেল ফ্রিজে যুক্ত হচ্ছে বিশ্বের লেটেস্ট সব প্রযুক্তি। রয়েছে ন্যানো হেলথকেয়ার টেকনোলজির ব্যবহার।

মার্সেল ফ্রিজ মান নিয়ন্ত্রণকারী বিভাগের প্রকৌশলীরা জানান, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে প্রতিটি ফ্রিজের মান নিশ্চিত হয়েই বাজারে ছাড়ছে মার্সেল।

মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথকেয়ার ও অ্যান্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট ব্যবহার, এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, কম্প্রেসারে ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা, স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে দেশেই তৈরি হয় বলে মার্সেল ফ্রিজের গ্রাহকপ্রিয়তা বাড়ছে।

মার্সেল মার্কেটিং বিভাগের (উত্তর) প্রধান মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, এ বছর ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে মে এই মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে মার্সেল ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৩১ শতাংশ। চলতি মাসে বিক্রির প্রবণতা দেখে প্রবৃদ্ধির মাত্রা আরো বাড়বে বলে আশা করছি।

ফ্রিজের ভেতরে খাবার সংরক্ষণের জন্য সুপ্রশস্ত জায়গা এবং সাশ্রয়ী দামে সঠিক আয়তনের ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাতই মার্সেল ফ্রিজের দ্রুত গ্রাহকপ্রিয়তা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন দেশীয় প্রতিষ্ঠানটির বিপণন বিভাগের (দক্ষিণ) প্রধান শামীম আল মামুন।

আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় দ্রুত সর্বোত্তম সেবা পৌঁছে দিচ্ছে মার্সেল। সারা দেশে ৬৭টি সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। যেখানে কাজ করছেন ২ হাজার ৫০০ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।

জানা গেছে, ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবায় গ্রাহকদের হোম সার্ভিস দিচ্ছে মার্সেল। গ্রাহকরা যেকোনো মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল দিয়ে বছরের ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত সেবা। তথ্য প্রাপ্তির পর গ্রাহকের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইডার। মার্সেলের এই সেবা এরইমধ্যে গ্রাহকমহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে। বিক্রয়োত্তর সেবায় খুব শিগগিরই অনলাইন সেবা চালু হচ্ছে। গ্রাহক ঘরে বসেই জানতে পারবেন পণ্যটি কোন পর্যায়ে আছে, কখন ডেলিভারি ইত্যাদি।

দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ

 

প্রকাশ :জুন ১৫, ২০১৭ ১:৪৬ অপরাহ্ণ