স্বাস্থ্য ডেস্ক:
শহরের ছেলেরা কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে বাবা হওয়ার ক্ষমতা হারাচ্ছে। পুরুষের বন্ধ্যাত্ব উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।সন্তান হচ্ছে না। তাহলে সমস্যা রয়েছে মেয়েটির। কোনও রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই।চিকিৎসকদের মতে, এ ক্ষেত্রে আধুনিক জীবনযাত্রার দায় অনেকটাই। চর্বিজাতীয় বা মশলাযুক্ত খাবার, বিভিন্ন নেশা, রাতের শিফটে ডিউটি এবং অতিরিক্ত টেনশন সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করে।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডিম্বাণু সুস্থ থাকলেও যদি শুক্রাণুর গুণগতমান ভাল না হয়, তা হলে ভ্রূণ তৈরি হবে না। আধুনিক খাদ্যাভাসে চর্বিজাতীয়, অতিরিক্ত তেলমশলাযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া হয়। এই ধরনের খাদ্যাভাসের জেরে স্থূলতার সমস্যা তৈরি হয়। সঙ্গে থাকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও। পাশাপাশি অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধূমপানের জেরে পুরুষদের শুক্রাণু তৈরিতে সমস্যা হতে পারে। মদ এবং তামাকজাত পদার্থ সেবন করলে রক্তের স্বাভাবিক চলাচল বাধা পায়। তার জেরে পর্যাপ্ত শুক্রাণু তৈরি হয় না। মোটরবাইক চালানোও বন্ধ্যত্ব ডেকে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাদের মতে, ইঞ্জিনের গরম দেহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াগুলির জন্য ক্ষতিকারক। তাই দিনের একটা বড় সময় মোটরবাইক চালালে সুস্থ শুক্রাণু তৈরি না হওয়ার ঝুঁকি থাকে।পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বৃহস্পতিবার একটি বন্ধত্ব্য চিকিৎসাকেন্দ্রের তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বন্ধ্যত্ব চিকিৎসক অরিন্দম রথ বলেন, ‘‘কলকাতায় সন্তানহীন দম্পতিদের অন্তত ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষদের সমস্যা থাকে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা চিহ্নিত হয় না। কারণ পুরুষেরা এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসতে চান না।’’ একে শুধু শারীরিক সমস্যা নয়, সামাজিক সমস্যা হিসেবেও চিহ্নিত করেন তিনি। গ্রামীণ এলাকায় এই সমস্যা আরও বেশি। কলকাতায় অবশ্য পরিস্থিতির বদল হচ্ছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ