২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:৪৫

ময়মনসিংহে ঈদ বাজারে পোশাকের দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ময়মনসিংহে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে শপিং মলগুলো। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ ঈদের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারা চড়া দাম হাঁকিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিক্রেতারা।

এছাড়া ঈদ বাজারে নতুন কালেকশনের নামে পুরাতন বা নিম্নমানের পণ্য বিক্রির অভিযোগ ক্রেতাদের। পুরো ১১ মাসের ব্যবসায়িক লাভ লোকসান মেলাতে বেশি মুনাফা লাভের জন্য ঈদ বাজারকে টার্গেট করে ব্যবসায়ীরা। ফলে ঈদ বাজারে পণ্য বেচা-কেনায় প্রতারণা ঠেকাতে বাজার মনিটরিং করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তারা।

বিভাগীয় শহর হওয়ায় ময়মনসিংহে রমজানের ঈদ বাজারে ব্যাপকভাবে বেচা-কেনা হয়ে থাকে। পুরুষ, নারী, শিশুসহ মুসলমানরা নিজেদের সাধ্যমতো নতুন জামা-কাপড়, গয়না কিনে থাকেন। নতুন কাপড় না হলে ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পায় না। তাই রমজান মাসে ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনারপাড়, চরপাড়া, সিকেঘোষ রোড, নতুনবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে নামী-দামী বিপণী বিতানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

মঙ্গলবার গাঙ্গিনারপাড় একটি দোকানে মূল্য নির্ধারিত আগের দামের টিকেট তুলে নতুন করে তাতে স্টিকার যুক্ত করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যান্য দোকানগুলিতেও এক হাজার টাকায় কেনা কাপড় তিন থেকে চারগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দর কষাকষির মধ্যে পণ্যের ক্রয় মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দাম চাওয়া হয়। দেখা যায়, পাঁচ হাজার টাকা চাওয়া কাপড় দর কষাকষির এক পর্যায়ে ১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

অপরদিকে হাজার টাকার নিচে চার বছরের শিশুর পোশাক নেই অনেক অভিজাত বিপণিকেন্দ্রে।

পোশাক কিনতে আসা আসমা, রোজিনা, মাইদুলসহ অনেক ক্রেতার অভিযোগ, বিক্রয় উৎসব, আলোকসজ্জা ইত্যাদি খরচ করছেন ব্যবসায়ীরা। তারপর ক্রেতাদের পকেট কেটে সেই খরচ জোগান দেওয়া হচ্ছে। ঈদের পোশাকের বাজারে চরম নৈরাজ্য চলছে বলে তাদের অভিযোগ।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদ বাজার মনিটরিং করার দাবি তুলেছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, ভোগ্যপণ্যের ন্যায় ঈদ বাজার মনিটরিং করা দরকার। ঈদ বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে পণ্যের ক্রয়মূল্যে রশিদ প্রদর্শন করাতে ব্যবসায়ীদের বাধ্য করার দাবিও জানান তারা। এছাড়া যেসব ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে পণ্যে বিক্রি করছেন প্রশাসন যেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন সেই দাবিও জানান তারা।

পাইকারি কয়েকজন বিক্রেতা অভিযোগ করেন, তাদের কাছ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে জামা, পাঞ্জাবি ইত্যাদি কিনে নিয়ে শহরের বিভিন্ন বিপণী বিতানে খুচরা তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করছে। তারাও বললেন, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তারা বাজার মনিটরিং প্রয়োজন মনে করছেন। এতে ক্রেতারা প্রতারিত হবে না।’

কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ঈদ বাজার দুই একটি ভোগ্যপণ্যের বাজার নয়। এখানে অসংখ্য আইটেমের কাপড় রয়েছে। এটা মনিটরিং করা সম্ভব নয়। আমরা সরকারকে ভ্যাট, আয়কর দিয়ে থাকি। ব্যবসায়ীরা এমনিতে ভাল নেই। বাজার মনিটরিংয়ের নামে যাতে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ

প্রকাশ :জুন ১৪, ২০১৭ ১২:৫১ অপরাহ্ণ