চলতি বছর অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই খেলবে বাংলাদেশ। তার প্রস্তুতি এখন থেকে নিতে চান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে প্রথম পদক্ষেপ নিতে চান তিনি। নিজের সতীর্থের কাছে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বাস অর্জন করতে চান বিপিএলে খুলনা টাইটানসকে নেতৃত্ব দেওয়া মাহমুদউল্লাহ। চান আস্থাভাজন হয়ে খেলোয়াড়দের সেরাটা বের করে আনতে।
‘আমি খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ওই বিশ্বস্ততা পেতে চাই। একইসঙ্গে চাই ওরাও যেন অধিনায়ক হিসেবে আমাকে বিশ্বাস করতে পারে। কারণ টি টোয়ন্টি খেলাটাই এমন যে, যে কারো এক দুই ম্যাচ হয়ত খারাপ হতে পারে। তার মানে এই না যে, সে অনিশ্চয়তা বোধ করবে। অধিনায়ক হিসেবে আমার দায়িত্ব এটি। যাতে করে খেলোয়াড়রা নিশ্চয়তা বোধ করে এবং স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারে। আমার কাছে এই পরিকল্পনাগুলো গুরুত্বপূর্ণ।’- জিম্বাবুয়ে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেন মাহমুদউল্লাহ।
নিজের এমন চিন্তার কারণও ব্যাখ্যা করেন মাহমুদউল্লাহ, ‘এখানে নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ কারণ, আমি চাই খেলোয়াড়রা তাদের নিজস্ব অবস্থান বুঝে যাতে ওইভাবে ব্যাটিং করতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, স্পেশালি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আপনি দলে আপনার ভূমিকা সম্পর্কে জানলে আপনার কাজ সহজ হয়ে যায়। টি-টোয়েন্টিতে উপরের ব্যাটসম্যানরা দেখে খেলতে পারলেও যারা ছয়ে-সাতে ব্যাটিং করে তারা নেমেই মারতে হয়। তখন তারা প্রথম বলেও আউট হয়ে যেতে পারে। আমি মনে করি অধিনায়ক হিসেবে এই বিষয় গুলো মেনে নিতে হবে। তাদের সেভাবে সুযোগ দিতে হবে। আমার মনে হয় টিম ম্যানেজমেন্টও বিষয়টি সমর্থন করবে।’
মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্বে খুলনা টাইটানস বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। শিরোপা না জিতলেও ফাইনালে উঠেছে। দলে ৩৪ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার দায়িত্ব নিয়ে খেলে থাকে। জাতীয় দলেও তেমন ভূমিকা পালন করতে চান মাহমুদউল্লাহ, ‘সত্যি বলতে আমার মনে হয়, যে অধিনায়ক হবে তার ওই কর্তৃত্ব নেওয়া উচিত ও টিমের প্রতি বিশ্বাসটা গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে খেলোয়াড়রা বুঝে তাদের প্রতি অধিনায়ক, কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাপোর্টটা আছে। এটা তাদের পারফর্ম করতে সাহায্য করবে। আমি অধিনায়ক হিসেবে এগুলো খুঁজে বের করবো। এবং চেষ্টা করব আমার তরফ থেকে ওই সমর্থনটা যেন খেলোয়াড়রা পায়।’