২৮শে জানুয়ারি, ২০২৫ ইং | ১৪ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:৪০

মশার ওষুধ নিম্নমানের: কাউন্সিলর মিয়াজী

সিটি করপোরেশনের সরবরাহকৃত মশা নিধনের ওষুধে মশা মরছে না বলে অভিযোগ করেছেন খোদ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী। তিনি দক্ষিণ সিটির ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তার মতে, মশা নিধনের ওষুধ অতি নিম্নমানের। ফলে এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে নগরীর মশা ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোর নাম উঠে আসে। জরিপ অনুযায়ী, দুই সিটির মোট ১১টি ওয়ার্ডকে মশা ঝুঁকিতে রয়েছে। এরমধ্যে উত্তর সিটির ৫টি এবং দক্ষিণ সিটিতে ৬টি ওয়ার্ডের নাম উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, উত্তর সিটির ১, ১২, ১৬, ২০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড মশা ঝুঁকিতে রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে দক্ষিণের ৫, ৬, ১১, ১৭, ৩৭ এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ড।

দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে কেবল ৬টি ওয়ার্ডকে মশা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর কারণ জানতে চাইলে কাউন্সিলর আব্দুর রহমান বলেন, ‘যারা এই জরিপটা করেছে তারা কিভাবে করেছে আমি জানি না। মশা তো সব জায়গায় উড়ে বেড়ায়। যারা জরিপ করেছে তারা বাকি ওয়ার্ডগুলোকে মশামুক্ত প্রমাণ করতে চায় কিনা আমি জানি না! তারা বলতে পারবে।’

আব্দুর রহমান অভিযোগ করেন, কেবল তার ওয়ার্ড নয়, সারা ঢাকা শহরে বর্তমানে মশার উপদ্রব বেশি। আর মশক নিধনে ফগিং কার্যক্রম পরিচালনা করেও মশা দমন করা যাচ্ছে না। যার কারণ নিম্নমানের ওষুধ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির এই কাউন্সিলর বলেন, ‘মশার উপদ্রব তো আমি দেখি সারা ঢাকা শহরে অন্য যেকোনো সময়ের চাইতে বেশি। মশা নিধনে যে মেডিসিনটা দেয়া হচ্ছে, সেটার মান একটু নিম্নমানের। আর একটু ভালোমানের ওষুধ ছাড়া এটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। ফগার মেশিন দিয়ে আমরা মশার ওষুধ ছিটাচ্ছি। কিন্তু ওষুধের মানটা নিম্নমানের হওয়ার কারণে যেভাবে এর একটা ফলাফল পাওয়ার কথা সেটা পাচ্ছি না।’

তবে এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ।  শরীফ আহমেদ বলেন, ‘মশক নিধনের ওষুধ তিন ধাপে পরীক্ষার পর তা ব্যবহারের অনুমোদন পায়। ওষুধ কাজ করছে। মশার উপদ্রব কমাতে সঠিক নিয়মে ফগিং কার্যক্রম করতে হবে।’

প্রকাশ :মার্চ ৭, ২০২০ ৩:১৪ অপরাহ্ণ