২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:৫৯

খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে মুজিববর্ষ উদযাপন প্রহসন: মির্জা ফখরুল

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে মুজিববর্ষ উদযাপন করা একটি প্রহসন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। এসময় সঙ্গে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম।

খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা একটা প্রহসন। বেগম খালেদা জিয়া, যিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কারাগারে বন্দি ছিলেন, তাকে গণতন্ত্রের জন্য ৯ বছর একটানা সংগ্রাম করতে হয়েছে, পরবর্তীকালেও সংগ্রাম করতে হয়েছে এবং এখন জেলে আছেন, তাকে কারাগারে রেখে কোনও বর্ষই সফল হবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনাই ছিল গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম। এটাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘকাল আমাদের স্বাধীনতার দাবি উঠছে। স্বাধিকার আন্দোলন ও সংগ্রাম হয়েছে। তারই পরিণতি হিসেবে ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অথবা কোনও দল স্বাধীনতার দাবিদার হতে পারে না। সমগ্র বাংলাদেশের যুগ যুগ ধরে এই স্বাধীনতার লড়াই ও সংগ্রাম করেছে।’

‘নির্বাচনে পরাজয় জেনেই বিএনপির বিভিন্ন অভিযোগ তোলে’ আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন ও ম্যান্ডেট ছাড়া শুধু অস্ত্র দিয়ে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা এই ধরনের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। গণতান্ত্রিক ধারা নির্বাচনই ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র পথ। আমরা গণতান্ত্রিক দল বলেই এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’

ঢাকা-১০ উপনির্বাচন নিয়ে বিএনপি অত্যন্ত সিরিয়াস দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামী। তিনি ধানমন্ডি বিএনপির নেতা। তিনি ছাত্র রাজনীতি করেছেন দীর্ঘদিন। এলাকায় তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়।’

মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে যে অবস্থা, বিশেষ করে ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সেখানে দাঙ্গা লেগে গেছে, তার যে প্রভাব এখানে পড়েছে, সেই প্রভাবের মধ্যে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসাটা কতটুকু সমীচীন ও শোভনীয় সেটা তারাই বিচার করবে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ এলে বিএনপির সঙ্গে কোনও বৈঠকের সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের কোনও আলোচনা হয়নি।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

প্রকাশ :মার্চ ৭, ২০২০ ২:৩২ অপরাহ্ণ