এন্ড্রু কিশোরের শিষ্য সংগীতশিল্পী মোমিন বিশ্বাস বলেন, ‘আল্লাহর রহমত ও দেশবাসীর দোয়ায় এন্ড্রু কিশোরদা এখন অনেকটা ভালো আছেন। চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী—চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে দাদার দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঠিক কবে ফিরবেন এ ব্যাপারে চিকিৎসকরা কয়েকদিন পর নিশ্চিত করবেন।’
এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক সুস্থতার বিষয়ে মোমিন বিশ্বাস বলেন, ‘দেশে ফিরলেও সম্পূর্ণ চিকিৎসা শেষ করে ফিরছেন বিষয়টা এমন নয়, কারণ ক্যানসারের চিকিৎসা একটি চলমান প্রক্রিয়া। দাদার পরবর্তী চিকিৎসা প্রক্রিয়া কেমন হবে, কীভাবে চলবে এ বিষয়ে বিস্তারিত চিকিৎসকরা জানাবেন।’
আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর বর্তমানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ক্যানসারে আক্রান্ত এ শিল্পী লিম সুন থাই-এর অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিল্পীর পরিবারের পাশাপাশি সংগীতশিল্পী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এবং প্রবাসীরাও এগিয়ে এসেছেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন এন্ড্রু কিশোর। তিনি হরমোনজনিত সমস্যায়ও ভুগছিলেন। এ কারণে তার ওজন হ্রাসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এড্রেনাল গ্লান্ডও বড় হয়ে গিয়েছিল। যদিও এই গায়কের সঠিক রোগ নির্ণয় করা যাচ্ছিল না। সর্বশেষ সিঙ্গাপুরে বায়োপসি রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হন এন্ড্রু কিশোর ক্যানসারে ভুগছেন।
এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়েছে’, ‘তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন’, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’ প্রভৃতি।