দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্ট দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিটের আবেদন করেছেন তারা। এদিকে আমদানির কথা শুনে স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য স্থানীয় অফিসে ইমপোর্ট পারমিটের আবেদন করেছেন আমদানিকারকরা।
৫ মাস বন্ধের পর আবার পেঁয়াজ আমদানির কারণে বন্দরের আড়ৎগুলোতে ফিরে আসবে চাঞ্চল্যতা— এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সামনে রমজান মাস। তাই পেঁয়াজের দাম যাতে না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বেশি করে পেঁয়াজ আমদানি করবো। এতে এই পণ্যটির বাজার দাম স্বাভাবিক থাকবে।’
পেঁয়াজ আমদানিকারক আব্দুল হাকিম বলেন, ‘ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়ার পর আমি ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আবেদন করেছি। আরো অনেক আমদানিকারক ইমপোর্ট পারমিটের আবেদন করেছেন। আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যে দেশে ভারতের পেঁয়াজ এই বন্দরে প্রবেশ করবে।’
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মুসা ইমপোর্ট পারমিটের আবেদনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের কোন চালান আসেনি। তবে অনেক আমদানিকারক ইমপোর্ট পারমিটের জন্য আবেদন করেছেন। ঢাকা হেড অফিস অনুমতি দিলে কয়েক দিনের মধ্যে তারা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, পাঁচ মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। এটি কার্যকর হবে আগামী ১৫ মার্চ থেকে।